ধ্বংসস্তূপে মাথা গোঁজার ঠাই খুঁজছেন ফিরে যাওয়া সিরীয়রা
অনেক বছর বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে থাকার পর সিরিয়ার নাগরিকরা দেশে নিজেদের বাড়ি-ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। ধ্বংসস্তূপেই মাথা গোঁজার ঠাই খুঁজছেন ফিরে যাওয়া সিরীয়রা।
নিজ বসতভিটায় ফিরছেন ২০% শতাংশ নাগরিক
সিরিয়া ছেড়ে পালিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। ঘর-বাড়ি ছেড়ে যাওয়া মানুষদের মধ্যে আনুমানিক ২০ শতাংশ তাদের নিজ নিজ এলাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। তবে সেখানে এ মুহূর্তে ধ্বংসস্তূপ ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই।
নেই কোনো সরকারি সহায়তা
দেশটির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন হলেও এখনো জরুরি রাষ্ট্রীয় পরিষেবাসমূহ সঠিকভাবে কাজ করা শুরু করেনি। তাই নিজ নিজ এলাকায় ফেরা সিরিয়ার বাসিন্দাদের গুঁড়িয়ে যাওয়া ঘর-বাড়ি নিজেদেরকেই পরিষ্কার করে থাকার জায়গা তৈরি করতে হচ্ছে।
অবশিষ্ট নেই কিছুই
সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে নিজের বাড়িতে ফিরছেন নাদিমা আল বারকাত নামের এক মধ্যবয়সি নারী। তার ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, "আমরা হয়তো আমাদের ঘর-বাড়ি হারিয়েছি, কিন্তু বেঁচে থাকার ও টিকে থাকার ইচ্ছাশক্তি হারিয়ে ফেলিনি।"
নতুন বাড়ি নির্মাণ
অনেকেই তাঁবুতে থাকছেন, কেউ কেউ আবার তৈরি করছেন নতুন বাড়ি। নতুন বাড়ি তৈরি করতে পারলেও পানির জন্য তাদেরকে গুণতে হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত খরচ। জরুরি স্বাস্থ্যসেবাও অনেকটা হাতের নাগালের বাইরে রয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অপ্রতুলতা
ধীরে ধীরে বাড়ি-ঘর নির্মাণ শুরু হলেও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে সেখানকার শিশুরা। দীর্ঘ এক দশকের গৃহযুদ্ধে আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে সেখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ। দাতব্য সংস্থা ও সরকারের সহায়তায় ধীরে ধীরে শিক্ষা, স্বাস্থ্যখাতে পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করছেন দেশটির নাগরিকরা।
সোনিয়া আল আলী/এসএইচ