দূষণকে বুড়ো আঙুল, দেদার বাজি দিল্লিতে
বাজির দাপটে দূষণের মাত্রা ফের চরম সীমায় দিল্লিতে। সোমবার ভোরে কোনো কোনো জায়গায় একিউআই ছিল ৯০০।
দেদার বাজি
দেওয়ালির রাতে দেদার বাজি ফাটালো দিল্লির নাগরিক। খোলা রাস্তায় পুলিশ-প্রশাসনের চোখের সামনেই বাজি ফাটানো হলো।
নিষিদ্ধ বাজি
দিল্লিতে বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ। বাজি বিক্রিও নিষিদ্ধ। প্রশ্ন উঠছে, সাধারণ মানুষের হাতে এত বাজি এল কোথা থেকে? নাগরিকদের বক্তব্য, পাড়ায় পাড়ায় লুকিয়ে বিক্রি হয়েছে বাজি।
শব্দ-ধোঁয়ার তাণ্ডব
রোববার সন্ধের পর থেকেই তাণ্ডব শুরু হয়। পাড়ায় পাড়ায় বিকট শব্দে ফাটতে শুরু করে বাজি। আকাশে রকেটের রোশনাই। এই সবকিছুই হয়েছে পুলিশের চোখের সামনে।
দূষণের মাত্রা
রোববার রাত থেকেই দূষণের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকে। সোমবার ভোরে কোনো কোনো এলাকায় দূষণের মাত্রা ৯০০ একিউআই-এ পৌঁছে যায়।
আকাশ থেকে দিল্লির ধোঁয়া
সোমবার ভোরে দক্ষিণ দিল্লির প্রাণকেন্দ্র লাজপত নগরে দূষণ ছিল ৯৫৯ একিউআই। জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম অঞ্চলে ছিল ৯১০। করোলবাঘে ছিল ৭৭৯। দিল্লির গড় একিউআই ছিল ৫০০।
ধোঁয়ায় ধোঁয়া
ভোরের দিল্লিতে কার্যত কোনো দৃশ্যমানতা ছিল না। চারিদিক ঢেকে ছিল ধোঁয়ায়। রোদ ওঠার পর ইন্ডিয়া গেটের সামনের অবস্থা ছিল এমন।
দুপুরে কমেছে
সোমবার বেলায় দূষণের পরিমাণ সামান্য কমেছে। গড় একিউআই ৩৫০-এ পৌঁছেছে।
বৃষ্টিতে লাভ হলো না
বৃহস্পতিবার রাতে এবং শুক্রবার ভোরে বৃষ্টি হওয়ায় দিল্লির দূষণের পরিমাণ অনেকটাই নেমে গেছিল। রোববার লাগামছাড়া বাজি না ফাটলে দূষণ আয়ত্ত্বের মধ্যে থাকতো।
কেন এত বাজি
সরকার স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে, সোমবার থেকে রাস্তায় অড-ইভেন নম্বরে গাড়ি চলবে। এত কিছুর পরেও কেন প্রশাসন সতর্ক হলো না, কেন বাজি ফাটানোর জন্য যথেষ্ট ধরপাকড় হলো না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।
কৃত্রিম বৃষ্টি
সরকার জানিয়েছে, দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে দূষণ কমানোর কথা ভাবা হচ্ছে। একমাত্র সেনাবাহিনীর হাতে সেই প্রযুক্তি আছে। শেষপর্যন্ত তা সম্ভব হবে কি না, এখনো সে বিষয়ে সেনা কোনো তথ্য দেয়নি।