দুর্নীতি রোধে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল
১৪ জুলাই ২০০৯কৌটিল্য বলছেন, মাছ যখন জল খায় আর রাজপুরুষ কখন ঘুষ নেয় জানা দুস্কর৷ স্পষ্ট ঘুষ প্রচ্ছন্ন ঘুষ বা নিষ্কাম ঘুষের মধ্যে যতই স্তরভেদ থাক না কেন, দূর্নীতির শিকড় পোক্ত গোপনে৷
কোনো দেশই সম্পূর্ণ দুর্নীতি মুক্ত নয়৷ সব দেশেই দুর্নীতি বিদ্যমান ৷ উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে দুর্নীতির চরিত্রে যে হেরফের, তার মূলে রাজনৈতিক-সংস্কৃতির রূপরেখা বিভাজিত কখনো তা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ৷
উন্নয়নশীল দেশে তো বটেই ধণতান্ত্রিক গণতন্ত্রী দেশেও ভোটের আগে ভোটপ্রার্থীরা অঙ্গীকার করছেন কোরাপশন বা দুর্নীতি নির্মূল করবেন বিভিন্ন স্তরে৷তার মানে, নির্বাচনী অঙ্গীকারে দুর্নীতি দমন এখন গুরুতর ইস্যু রাজনীতি, ব্যবসাবাণিজ্য থেকে শুরু করে সব মহলেই প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে দুর্নীতি হয়৷ কখনো খুবই ছোট আকারে, কখনো বিরাট পর্যায়ে ৷
গত দশ বছর ধরে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল দেশে-দেশে জরিপ চালিয়ে দুর্নীতির সূচক তৈরি করে দুর্নীতি রোধ করতে পেরেছে, তা নয়৷ তবে দেশের জনগণকে সচেতন করেছে ৷
উন্নয়নশীল দেশ যথা, ভারত, বাংলাদেশে দুর্নীতির কারণে আর্থিক, সামাজিক, শিক্ষা, সম্পদ, জনজীবনের উন্নয়নে এখনো বিপুল বাধা৷
কেবল উন্নয়নশীল দেশেই নয়, উন্নত দেশেও দুর্নীতির সূক্ষ্ম জাল বিছানো৷ বিশ্বজুড়ে যে আর্থিক মন্দা, তার মূলে দুর্নীতিও একটি অন্যতম কারণ৷
এই কারণ গভীরভাবে খতিয়ে দেখছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টান্যাশনাল৷
ডক্টর ইফতেখার জামান, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের নির্বাহী পরিচালক এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের কেন্দ্রীয় বোর্ডের কার্যনির্বাহী সদস্য ৷ তিনি মনে করেন, দুর্নীতির মূলে জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতার অভাব৷ প্রত্যেক দেশেই বিদ্যমান বৈশ্বিক আর্থিক মন্দার মূলেও তাই, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের চুলচেরা বিশ্লেষনে এই তথ্যই পরিস্কার৷
ডক্টর ইফতেখার স্পষ্টতই জানান, দুর্নীতি দমনে জনগণকেই এগিয় আসতে হবে৷ অন্যথায় দুর্নীতি দমন অসম্ভব৷ জনগণের জাগরণেই সম্ভব দুর্নীতি উচ্ছেদ৷ এর জন্য সরকারের সার্বিক সহায়তা প্রয়োজন৷ সরকার যদি উদ্যোগী না হয়, কোন দেশেই দুর্নীতি নির্মূল অসম্ভব৷ সরকারের রাজনীতির সঙ্গে দুর্নীতিও সম্পৃক্ত৷
প্রতিবেদক: দাউদ হায়দার
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক