দুর্নীতি দমন কমিশনের স্বাধীনতা বজায় রাখার দাবি জানালো টিআইবি
২৯ জানুয়ারি ২০১১সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী পাস হলে প্রতিষ্ঠানটি নিরপেক্ষ থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা হারাবে৷
দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী পাস হলে প্রতিষ্ঠানটি নিরপেক্ষ থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা হারাবে বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)৷ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে অংশ নেওয়ার পর টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রস্তাবিত সংশোধনী পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান৷
দুদক আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী পুনর্বিবেচনার দাবিতে টিআইবির ডাকে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টায় পর্যন্ত মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়৷ ইফতেখারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘গত ২৪শে জানুয়ারি ১০টি সংশোধনীসহ দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধিত) আইনের খসড়া অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা৷ প্রস্তাবিত সংশোধনী আইনে সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তের জন্য সরকারের পূর্বানুমতি নেয়ার বিধান রাখা হয়েছে৷ বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুদক আইনে কিছু পরিবর্তন এনে তাদের ক্ষমতা বাড়ানো হয়৷''
বর্তমান মহাজোট সরকার দুদক আইনে সংশোধনীর উদ্যোগ নিলে সংস্থাটির চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেছেন, দুদককে ক্রমেই ক্ষমতাহীন করা হচ্ছে৷ দুদককে দন্তহীন বাঘে পরিণত করার পর এখন তার থাবা থেকে নখগুলোও কেটে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে৷
দুদক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারলে কেন সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে করতে পারবে না – এ প্রশ্ন রেখে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘‘বিশেষ বিবেচনায় কাউকে সুবিধা দেয়া হলে, তা হবে সংবিধান পরিপন্থী৷ কারণ সংবিধানে সব নাগরিককে সমান অধিকার দেয়া হয়েছে৷'' আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনের আগে জনগণকে দেয়া অঙ্গীকার ভেঙে বর্তমান সংশোধনী পাস করলে তা হবে দেশ ও জনগণের জন্য বড় একটি দুঃসংবাদ৷ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে দুর্নীতি দমন কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে সংস্থাটিতে আরো শক্তিশালী করার কথা বলা হয়েছিলো৷''
প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন