দিল্লিতে যমুনার জলে বিষাক্ত ফেনা
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত পরিবেশের রাজধানী হিসেবে বিবেচিত দিল্লি৷ শুধু ঘন ধোঁয়াই নয়, যমুনার জলে ভাসা বিষাক্ত ফেনাও সেখানকার বাসিন্দাদের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে৷
বিষাক্ত চিহ্ন
দেখলে মনে হবে দুই মাঝি বরফ জলে নৌকা চালাচ্ছেন৷ আসলে বিষাক্ত ফেনায় ঢেকে আছে দিল্লির কাছের যমুনার জল৷ পবিত্র হিসেবে বিবেচিত নদীটির পানিতে ফসফেট কনটেন্ট বেশি থাকায় এই ফেনা সৃষ্টি হয়েছে৷ এটি বিশ্বের অন্যতম বিষাক্ত নদী৷
নদীতে পূজা
চারদিনব্যাপী ছট পূজা শুরু হবে শনিবার৷ এরই মধ্যে যমুনার পানিতে বিষাক্ত ফেনা ভেসে উঠতে শুরু করেছে৷ তাতে অবশ্য দমে যাওয়ার পাত্র নন ধর্ম বিশ্বাসীরা৷ নদীর কিনারে এবং নদীর জলে শরীর ডুবিয়ে সূর্য দেবতার পূজা করতে প্রস্তুত তারা৷
বিষাক্ত কুয়াশা
নদীতে ফেলা বর্জ্যে সৃষ্ট ফেনা নদীর তীরে জমে যায় বলে জানান প্রকৌশলী অন্কিট শ্রীভাস্তব৷ তিনি বলেন, ‘‘এই ফেনা প্রাণঘাতী নয়৷ এটি শরীরে প্রবেশ করলে আপনি মারা যাবেন না, তবে অসুস্থ হয়ে পড়বেন৷’’
দূষিত পানিতে হাঁটা
বিষাক্ত ফেনা ত্বক এবং শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে৷ দিল্লির ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি (এএপি) বেশ কিছুদিন ধরে নদী দূষণমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে৷ কিন্তু পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি৷ সোমবার অবশ্য কর্তৃপক্ষ ফেনা সরাতে কিছু কেমিক্যাল এবং এনজাইম ছড়িয়েছে৷
সেতুর নীচে ভক্তি
কুয়াশা নয়, ধোঁয়া৷ তারই মাঝে চার উপাসক সূর্য দেবতার প্রার্থনা করছেন৷ ভারতের রাজধানীর বায়ুও দূষিত৷ একটি ঘন, হলদে ধূসর মেঘ সবসময় দিল্লির আকাশ ছেয়ে থাকে৷
ঘন কুয়াশা
ঘন কুয়াশার মধ্যে এক পথচারীকে প্রায় অদৃশ্য অবস্থায় দেখা যাচ্ছে৷ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর দিল্লির তিন কোটির বেশি বাসিন্দা কণা দূষণে ভুগছেন৷ বিশেষ করে শরৎ এবং শীতকালে অনেক মানুষ শ্বাসযন্ত্রের রোগসহ সর্দি এবং মাথাব্যাথায় ভোগেন৷
বিপজ্জনক বায়ু
বায়ু দূষণ থেকে শহরের বাসিন্দাদের বাঁচাতে নভেম্বরের শুরুতে বিভিন্ন জরুরি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়৷ স্কুল বন্ধ রাখার পাশাপাশি নির্মাণ কাজও সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়৷ স্কুল যদিও আবার চালু করে দেয়া হয়েছে, তবে বায়ু দূষণের মাত্রা এখনো বিপজ্জনক পর্যায়েই রয়ে গেছে৷