দক্ষিণ গাজায় উদ্বাস্তু শিবিরে ইসরায়েলের আক্রমণ
খান ইউনিসের ইউএনআরডাব্লিউএ-এর একটি শিবিরে ইসরায়েল আক্রমণ চালিয়েছে। অন্তত ১২ জন নিহত। মৃতের সংখ্যা বাড়ছে।
খান ইউনিসের আশ্রয়শিবির
দক্ষিণ গাজার সবচেয়ে বড় শহর খান ইউনিস। ইসরায়েল গাজা স্ট্রিপে অভিযান চালানোর পর থেকে বহু মানুষ ঘর-বাড়ি ছেড়ে দক্ষিণ গাজার এই শহরে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। এখানেই ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্ক এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইনের (ইউএনআরডাব্লিউএ) সবচেয়ে বড় আশ্রয়শিবিরটি আছে।
ইসরায়েলের হামলা
এই আশ্রয় শিবিরে প্রায় ৪৩ হাজার উদ্বাস্তু বসবাস করছেন। শুধু তা-ই নয়, আশ্রয়শিবিরের বাইরে আরো অন্তত ৩০ হাজার মানুষ খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার এই আশ্রয় শিবির লক্ষ্য করে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে।
মৃতের সংখ্যা বাড়ছে
ইউএনআরডাব্লিউএ জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। বহু মানুষকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে।
ইসরায়েলের মাইকিং
ওই আশ্রয় শিবিরটি কার্যত ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলের সেনা। মাইকিং করে তারা বলছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সকলকে ওই আশ্রয় শিবির ছেড়ে চলে যেতে হবে।
জাতিসংঘের প্রশ্ন
জাতিসংঘের বক্তব্য, হাজার হাজার মানুষের পক্ষে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আশ্রয়শিবির ছেড়ে চলে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। আশ্রয়শিবিরের বাইরে লড়াই চলছে। ফলে এই সময় শিবির ছেড়ে বাইরে যাওয়া মোটেই নিরাপদ নয়। তাছাড়া ৭০ হাজার মানুষের পক্ষে নতুন জায়গা খুঁজে বার করাও প্রায় অসম্ভব।
ইসরায়েল ও হামাসকে জানানো হয়েছিল
জাতিসংঘের সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা আশ্রয় শিবিরের সমস্ত তথ্য ইসরায়েল এবং হামাসকে দিয়ে রেখেছিল, যাতে সেখানে কোনোভাবেই লড়াই না হয়। তারপরেও ওই শিবিরে আক্রমণ চালানো হলো।
আন্তর্জাতিক আদালতে গাজা মামলা
আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ করেছিল সাউথ আফ্রিকা। আন্তর্জাতিক আদালত সেই মামলার প্রাথমিক রায় শুক্রবার দিতে পারে। জাতিসংঘ অবশ্য আন্তর্জাতিক আদালতকে মামলাটি গ্রহণ না করার আর্জি জানিয়েছিল। কিন্তু আদালত মামলাটি শুনেছে।
অভিযান বন্ধের আবেদন
সাউথ আফ্রিকা নয়টি পয়েন্ট আদালতের সামনে রেখেছে। গাজায় বেসামরিক মানুষের নিরাপত্তা, তাদের জন্য আরো ত্রাণের ব্যবস্থা এবং যত দ্রুত সম্ভব ইসরায়েলের অভিযান বন্ধের আবেদন ওই পয়েন্টগুলির মধ্যে আছে। শুক্রবার আদালত ওই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
চার হুতি নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য চার হুতি নেতার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ওই নেতাদের নির্দেশেই লোহিত সাগরে হুতি বিদ্রোহীরা একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)