দক্ষিণ ওসেটিয়ায় শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠাবে ই ইউ
১৩ আগস্ট ২০০৮ব্রাসেলস এ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের এক বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান সভাপতি দেশ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজির সঙ্গে আলাপ আলোচনার পর রাশিয়ার ইতিবাচক মনোভাবের কথা জানার পরই বুধবার ইইউ পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা এই সমর্থনের কথা জানিয়েছেন৷
আইরিশ উন্নয়ন মন্ত্রী পিটার পাওয়ার এই জরুরী সভা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই কাজে অংশ নিতে রাজী৷ এই কাজে জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংস্থার সহায়তা লাগবে৷ তিনি জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বরে পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সম্মেলনে পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা পর সেখানেই দিন-ক্ষণ- তারিখ এবং শান্তি রক্ষীদের সংখ্যা ঠিক করা হবে৷ জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রী ফ্রাঙ্ক ভাল্টার স্টাইনমায়ার জানিয়েছেন, দক্ষিণ ওসেটিয়ার যুদ্ধ-বিরতির অবস্থা দেখতে ইউরোপীয় নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংস্থার পর্যবেক্ষকদের সংখ্যা ২০০ থেকে বাড়িয়ে ৩০০ জনে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷ পোল্যান্ড সহ ই ইউ-র কিছু দেশ রাশিয়ার কঠোর সমালোচনা করতে উদ্যোগী৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টাইনমায়ার রাশিয়ার নিন্দা করার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন এবং রাশিয়া ও জর্জিয়ার সঙ্গে সংলাপে ব্রতী হবার আহ্বান জানিয়েছেন৷তিনি বলেন, একপেশে নিন্দাসূচক কড়া বিবৃতি দান-এর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যেতে পারে অথবা ভবিষ্যতের দিকে দৃষ্টি দিয়ে পরিস্থিতি আরো স্থিতিশীল করার ক্ষেত্রে সত্যিকারের এক ভূমিকা নেয়া যেতে পারে৷ এর অর্থ - টিবলিসি এবং মস্কো সহ সব দিকে অর্গলটা খোলা রাখতে হবে৷
সংবাদ মাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, নিকোলা সারকোজির সফর এবং শান্তি আলোচনার পর দক্ষিণ ওসেটিয়া পরিস্থিতি আস্তে আস্তে শান্ত হয়ে আসছে৷ অবশ্য জর্জিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ব্রাসেলস এ সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন, দক্ষিণ ওসেটিয়ার বাইরে গোরি অঞ্চলে রাশিয়া আবারো হামলা করেছে৷
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল প্রেসিডেন্ট মিখাইল সাকাসভিলির সঙ্গে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে জর্জিয়া সফরে যাচ্ছেন৷ শুক্রবার তিনি সমস্যা সংকুল আবখাজিয়া প্রদেশের কাছাকাছি কৃষ্ণ সাগরের পারে অবস্থিত সোচিতে বৈঠক করবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের সঙ্গে৷ ম্যার্কেলের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, চ্যান্সেলর রুশ প্রেসিডেন্টকে জানাবেন, দক্ষিণ ওসেটিয়া নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার কোন সামরিক সমাধান নেই৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জর্জিয়া পরিস্থিতি নিয়ে ন্যাটো পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠানের বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছে৷