দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে পুরনো কলকাতা প্রাইড ওয়াক
শুরুটা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। তখন ‘ফ্রেন্ডশিপ ওয়াক’ নামে শুরু হলেও আজ তা ‘রেইনবো প্রাইড ওয়াক’।
সবচেয়ে পুরনো
দক্ষিণ এশিয়ার প্রাচীনতম প্রাইড ওয়াক শুরু হয়েছিল কলকাতাতেই। এবার তা ১৮ বছরে পড়ল।
প্রচুর মানুষের যোগদান
কলকাতার ১৮ তম প্রাইড ওয়াকে অংশ নিয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। ভালোবাসার লিঙ্গসাম্যের দাবিতে এই মিছিল ছিল বর্ণময়।
বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে
কলকাতার পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্টস থেকে শুরু হয়ে পার্কস্ট্রিট, শহরের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী পথ ধরে এই ‘গৌরব যাত্রা’ হয়।
কলকাতায় ডিসেম্বরে
সারা পৃথিবী জুড়ে জুন মাসেই প্রাইড মান্থ পালিত হলেও কলকাতার প্রাইড ওয়াক ডিসেম্বরেই হয়। আয়োজকদের বক্তব্য, গরম আর বৃষ্টির কারণে কলকাতায় জুন মাসে এই মিছিল করা একটু সমস্যার, তাছাড়া কলকাতায় যখন থেকে এই প্রাইড ওয়াক শুরু হয় জুন মাস তখনও আন্তর্জাতিক প্রাইড মান্থ হিসেবে চিহ্নিত হয়নি।
মিছিলে বিদেশিরাও
মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিলেন বেশকিছু বিদেশি পর্যটক। তারাও মিছিলে যোগ দেন।
পতাকা নিয়ে
সাতরঙা রংধনু রঙের পতাকা নিয়ে মিছিলে যোগ দেন বহু উৎসাহী মানুষ। লিঙ্গসাম্যের দাবিতে সমাজের সঙ্গে লড়াইয়ে তাদের জয়ের উদযাপণ এভাবেই করতে চান তারা।
লড়াই চলছে
মিছিলেই দেখা হয়ে যাওয়া বন্ধুকে হঠাৎ জড়িয়ে ধরে এক অংশগ্রহণকারী বলেন, সুপ্রিমকোর্ট রায় দিলেও মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি এখনও বদলায়নি। পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে আমাদের লড়াই সর্বক্ষণের।
ভালোবাসার প্রতীক
মিছিলে আসা দুই সমকামী বালিকা দেখান, কীভাবে তারা একে অপরের শরীরে এঁকে দিয়েছেন ভালোবাসার প্রতীক।
অন্য গল্প
শ্রবণ, কিরণ আর অরিজিৎ- জানান তাদের প্রেমের গল্পটা অন্যরকম। বিবাহের প্রচলিত সংজ্ঞার বাইরে গিয়ে এটা ‘আ ম্যারেজ অফ থ্রি মেন’ তারা একত্রে এবার মিছিলে হাঁটেন।
পরিচয় খুঁজে বের করা
চিত্রাঙ্গদা জানান, নিজেকে চিনতে পারার পর থেকে তিনি বিশ্বাস করতে শুরু করেন তিনি ভুল একটি শরীরে বসবাস করছেন। তার আসল পরিচয় তিনি একজন নারী।