তুরস্কে বিস্ফোরণে মৃত ৬, সন্দেহ পিকেকে-কে, গ্রেপ্তার ২২
১৪ নভেম্বর ২০২২পরে সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই বোমা যে রেখেছিল, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এটা সন্ত্রাসবাদী হামলা। বোমাটি রেখেছিল একজন নারী। পরে পুলিশ জানিয়েছে, মোট ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি( পিকেকে) এই ঘটনার পিছনে আছে। তারা পরিকল্পনা করে এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, ‘‘আমি আমার দেশের মানুষকে এটা বলতে পারি যে, দোষীদের উচিত শাস্তি দেয়া হবে। এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না যে, এটা একটি সন্ত্রাসী হামলা। তবে প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এটা সন্ত্রাসী হামলা বলেই মনে হচ্ছে।”
কী হয়েছিল?
ইস্তাম্বুলে ইস্তিকলাল অ্যাভিনিউ খুবই ব্যস্ত রাস্তা। সেখানে স্থানীয় মানুষ ও পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। রোববার বিকেল চারটে ২০ মিনিট নাগাদ সেখানে বিস্ফোরণ হয়।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, হঠাৎ শক্তিশালী বিস্ফোরণ হয়। আগুনের গোলা উপরে ওঠে। তারপরই দেখা যায়, কয়েকটি দেহ ফুটপাথ ও রাস্তায় পড়ে আছে।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, ঘটনার পর একটি হেলিকপ্টার উড়ছিল এবং বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলের দিকে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সেমাল সংবাদসংস্থা এএফপি-কে বলেছেন, তিনি ঘটনাস্থল থেকে ৫০-৫৫ মিটার দূরে ছিলেন। বিস্ফোরণের পর মানুষ ভয় পেয়ে পালাতে থাকে।
এরপরই পুরো জায়গাটা গিরে রাখা হয়। রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়। সরকারি সংবাদমাধ্যমে প্রথমে বিস্ফোরণের খবর দেয়া হয়নি। পরে তা দেয়া হয়।
এর আগে ২০১৬ সালেও ইস্তিকলাল স্ট্রিটে বিস্ফোরণে চারজন মারা গেছিলেন, আহত হয়েছিলেন ৩৯ জন।
সমবেদনার বার্তা
জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ভাল্টার স্টাইনমায়ার শোকপ্রকাশ করে বলেছেন, যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। যারা আহত হয়েছেন, তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। এই শোকের সময়ে জার্মানি তুরস্কের জনগণের পাশে আছে।
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবক বলেছেন, রোববার ইস্তিকলাল শপিং স্ট্রিটে যারা হাঁটছিলেন, তারা বিস্ফোরণের ফলে মারা যাবেন, তা ভাবা যায় না। মৃতের পরিবারকে সমবেদনা জানাই।
হোয়াইট হাউসের তরফে শোকপ্রকাশ করে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তুরস্কের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়বে অ্যামেরিকা।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ এই ঘটনায় শোক জানিয়েছেন।
জিএইচ/কেএম(এপি, এেফপি, ডিপিএ)