তুরস্কে আবার সিএইচপি দলের নেতা হলেন ওজেল
৭ এপ্রিল ২০২৫ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোলু গ্রেপ্তারের পর রোববার তার দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) ওজগুর ওজেলকে তাদের নেতা হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত করেছে। আঙ্কারাতে এক পার্টি কংগ্রেসের দলের চেয়ারম্যান হসেবে নির্বাচিত হন ওজেল। তুরস্কেএকরেম ইমামোলুর গ্রেপ্তার-পরবর্তী সময় সরকার তথা রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ান-বিরোধী প্রতিবাদকে কাজে লাগানোই তাদের উদ্দেশ্য বলে মনে করা হচ্ছে।
আঙ্কা নিউজ এজেন্সির খবর অনুযায়ী, ৫০ বছর বয়সী ওজেল মোটএক হাজার ১২৭৬ টি ভোটের মধ্যে এক হাজার ১৭১টি ভোট পেয়ে রেকর্ড মাত্রায় জয়ী হন। তিনি খুব একটা বিরোধিতার সম্মুখীন হননি।
তুরস্কে প্রতিবাদের পিছনে রয়েছে সিএইচপি
ইমামোলুর গ্রেপ্তারের পর তুরস্ক জুড়ে যে সরকার বিরোধী প্রতিবাদ সংগঠিত হয়েছে সিএইচপি তার নেতৃত্ব দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত মাসে দুর্নীতি এবং আতঙ্কবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। একই সঙ্গে সিএইচপির আরো সাত মেয়র গ্রেপ্তার হন বলে জানা গিয়েছে।
ইস্তাম্বুলে ইমামোলুর সমর্থনে ছাত্রছাত্রী সহ হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। সার্বিক ভাবে শান্তিপূর্ণ হলেও সরকার প্রায় দুই হাজার প্রতিবাদীকে আটক করেছে। তাদের মধ্যে তিনশ জন জেলে আছেন।
সিএইচপির দাবি, ২০২৮-এর নির্বাচনে এর্দোয়ানের প্রতিপক্ষ হিসেবে ইমামোলুর উত্থানের কারণেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোনো কোনো সমীক্ষায় দেখা গেছে ইমামোলুর সমর্থন এর্দোয়ানের থেকেও বেশি।
সিএইচপির নবনির্বাচিত নেতা ওজেল জানিয়েছেন ইমামোলুর গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদকে আরো জোরদার করবে তার দল। তিনি আরো বলেন প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ নির্বাচন এগিয়ে আনতে সিএইচপির পিটিশানে সই করেছেন।
তুরস্কের বিরোধীরা নো স্পেন্ডিং ডে বা খরচ বয়কট করে তাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
২০০৩ এ ক্ষমতায় আসার পর থেকে পশ্চিমের দেশগুলি এর্দোয়ানের বিরুদ্ধে অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে। তার আমলে গ্রেপ্তার হন বহু বিরোধী এবং বিশিষ্ট মানুষ।
এসসি/জিএইচ(এপি, এএফপি, রয়টার্স)