দুর্নীতি
২২ অক্টোবর ২০১২ড্যান্ডি ডাইং নামের একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে তারেক রহমান ঐ শিল্প প্রতিষ্ঠানের নামে ২০০১ সালে সোনালি ব্যাংক থেকে ১২ কোটি টাকা ঋণ নেন৷ কিন্তু ঋণ পরিশোধের সময়সীমা পার হয়ে গেলেও প্রতিষ্ঠানটি ঋণের কোনো টাকা পরিশোধ করেনি৷ সেই টাকা এখন সুদে আসলে ৪৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা হয়েছে৷ টাকা আদায়ের জন্য ২রা আক্টোবর ঢাকার অর্থঋণ আদালতে মামলা করে সোনালি ব্যাংক৷ অর্থঋণ আদালতের বিচারক রবিউজ্জামান তারেক রহমানসহ ১০ পরিচালকের বক্তব্য জানতে চাইলেও তাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো জবাব দেননি৷
পরিচালকদের মধ্য রয়েছেন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো, খালেদা জিয়ার প্রয়াত ভাই সাঈদ এস্কান্দারের স্ত্রী নাসরিন আহমেদ, দুই ছেলে শামস এস্কান্দার ও সাফিন এস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া এস্কান্দার, তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, তাঁর স্ত্রী শহিনা বেগম, মোজাফফর আহমেদসহ ১০ জন৷
আদালত সোমবার তাঁদের বিরুদ্ধে সমন দিয়েছে তাঁদের বক্তব্য দেয়ার জন্য৷ সাঈদ এস্কান্দার ড্যান্ডি ডাইং-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন৷ কিন্তু তিনি মারা যাওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে সমন দেয়া হয়নি৷ যা সাংবাদিকদের জানান সোনালি ব্যাংকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বেগম৷
তবে তারেক রহমানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার দাবি করেন, এই মামলাটি হয়রানিমূলক৷ একটি লোকাসানি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এভাবে মামলা করা যায়না৷ তাঁর মতে, হলমার্ক কেলেঙ্কারি ধামা চাপা দিতেই সরকারের নির্দেশে এই মামলা করা হয়েছে৷
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়ার দুই ছেলে তারেক রহমান এবং আরাফাত রহমান কোকো দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাইরে আছেন৷ গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আটক হওয়ার পর তাঁরা চিকিৎসা জামিনে দেশের বাইরে গেলেও আর ফিরে আসেন নি৷