টানা বৃষ্টিপাত, প্রবল বন্যায় বিপর্যস্ত চীন
গত কয়েক দিন ধরে প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত চীনের উত্তরাংশের মানুষ৷ প্রাণ গিয়েছে অন্তত ৩৮ জন মানুষের৷ জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ৷ প্রায় ৮০ হাজার দেশবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হয়েছে৷ দেখুন ছবিঘরে... ইউলি হুয়েনকেন/এসটি
বেইজিংয়ের উপকণ্ঠে বন্যা, ভেঙে পড়েছে বাড়ি
বন্যায় ডুবেছে বেইজিং, ধসে পড়েছে বাড়ি৷ চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি সূত্রে খবর, বেইজিংয়ের উত্তর-পূর্বে মিউন জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবচেয়ে বেশি৷ সেখানেই প্রাণ গিয়েছে অন্তত ২৮ জনের৷ উত্তর-পশ্চিমের ইয়াংকিং অঞ্চলেও মৃত্যু হয়েছে আরো দু‘জনের৷
ভূমিধসে মৃত অন্তত আট জন
লুয়ানপিং কাউন্টিতে ভূমিধসে প্রাণ গিয়েছে আট জনের৷ নিখোঁজ বহু মানুষ৷ এ পর্যন্ত প্রতি বর্গ মিটারে ১৬০ লিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে বেইজিংয়ে৷ মিউনের কোনো কোনো জায়গায় পরিমাণটি প্রতি বর্গ মিটারে ৫৪০ লিটারে গিয়ে ঠেকেছে৷ মিউন জেলার তাইশিতুন এলাকা জলে ডুবে গিয়েছে৷ শুধু তাই নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পার্শ্ববর্তী হেবেই অঞ্চলও৷
গাছ উপড়ে রাস্তা বন্ধ তাইশিতুনে
বেইজিং থেকে ১০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত তাইশিতুন জলে ডুবে গিয়েছে৷ রাস্তায় ভেঙে পড়েছে গাছ৷ বিপর্যস্ত জনজীবন৷ জল ও ভাঙা ডালপালা সরিয়ে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে মানুষকে৷
চলছে উদ্ধারকাজ, উদ্ধার ৮০ হাজার
অন্তত ৮০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন৷ এই ৮০ হাজার জনের মধ্যে ১৭ হাজার জনই মিউন জেলার৷ রাস্তাঘাট জলের তলায় চলে যাওয়ায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে প্রবলভাবে৷ জানা গিয়েছে, বেইজিংয়ের ১৩৬ জনের বাড়ি ছিল বিদ্যুৎহীন৷
মিউন বাঁধের জল বিপদসীমায়
১৯৫৯ সালে তৈরি মিউন বাঁধের জল বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে৷ প্রশাসন অবশ্য আশপাশের বাসিন্দাদের এই বিষয়ে অনেক আগেই সতর্ক করেছে৷
কাদায় ঢেকেছে বাজার
তাইশিতুনের বাজার ঢেকেছে কাদায়৷ দোকানের সামনে থেকে সেই কাদা পরিষ্কার করছেন এক ব্যক্তি৷ প্রতি বছর গ্রীষ্মকালে একাধিক বার ঝড়ের সম্মুখীন হয় চীন৷ প্রায় প্রতিটিতেই প্রবল ক্ষয়ক্ষতি হয়৷ চীনের সরকারি গণমাধ্যমের দাবি, মে মাসের মাঝামাঝি থেকে এখনো পর্যন্ত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রাণ গিয়েছে অন্তত ৭০ জনের৷
বিপর্যস্ত পর্যটন পরিষেবাও
সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে চীনের পর্যটন পরিষেবার৷ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ট্রেন ও বাসের চলাচল৷ হংকংয়েও পড়েছে এই দুর্যোগের প্রভাব৷ আবহাওয়া দফতর অবশ্য চীনের উত্তর ও পূর্বে আরো বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে৷ প্রশাসন সতর্কতা জারি করেছে৷