জি-২০ বৈঠকের জন্য দিল্লিতে অঘোষিত 'লকডাউন'
২৩ আগস্ট ২০২৩আগামী ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে আয়োজিত হবে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। বিশ্বের ২০টি দেশের সর্বোচ্চ নেতারা এতে অংশ নেবেন। পাশাপাশি জি-২০-র আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশ-সহ আরো বেশ কিছু দেশকে সেখানে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত। ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা থেকেই একে একে বিভিন্ন দেশের নেতারা রাজধানীতে আসতে শুরু করবেন। ফলে দিল্লির রাস্তা খালি রাখতে হবে ভিভিআইপি মুভমেন্টের জন্য। সে কথা মাথায় রেখেই দিল্লি সরকারকে বিশেষ চিঠি দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে।
দিল্লি পুলিশের নিরাপত্তা বিষয়ক বিশেষ কমিশনার মধুপ তিওয়ারি রাজ্যের মুখ্য সচিবকে একটি চিঠি দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, জি-২০ বৈঠকে ভিভিআিপি মুভমেন্ট হবে। ফলে রাস্তাঘাট খালি রাখা প্রয়োজন। নিরাপত্তার সর্বোচ্চ আয়োজন করতে হবে। সে কারণেই ৮ থেকে ১০ দিল্লির প্রতিটি পুরসভা অঞ্চলে ছুটি ঘোষণা করা হোক। অতি প্রয়োজনীয় সার্ভিস ছাড়া বাকি সমস্ত সেক্টরে এই ছুটি মোতায়েন করা হোক। দোকানপাট তো বটেই বন্ধ রাখতে হবে সমস্ত ব্যাঙ্ক। যে অঞ্চলে জি-২০ বৈঠকের আয়োজন হচ্ছে সেখানে মেট্রো স্টেশন বন্ধ রাখার কথাও বলা হয়েছে।
দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার সুমন নালওয়া জানিয়েছেন, ''নিরাপত্তার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সে কারণেই পুলিশের তরফে ছুটি ঘোষণার আর্জি জানানো হয়েছে।'' দিল্লি সরকার এবিষয়ে এখনো সরকারি নোটিস জারি না করলেও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল পুলিশের পাঠানো চিঠিকে অনুমোদন দিয়েছেন বলে দিল্লি সরকারের সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। বুধবারই এবিষয়ে চূড়ান্ত নোটিস জারি হওয়ার কথা।
দিল্লির ব্যবসায়ী সমিতির তরফে অবশ্য একটি পাল্টা আর্জি জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, তিনদিন দোকানপাট সম্পূর্ণ বন্ধ না করে দ্বিতীয় কোনো পন্থা অবলম্বন করা হোক।
শেখ হাসিনার সফর
ভারতের বিশেষ আমন্ত্রণে জি-২০ বৈঠকে যোগ দিতে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখনো পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ৮ তারিখ সন্ধ্যায় তার দিল্লি পৌঁছানোর কথা। দুইদিন দিল্লিতে বৈঠকে যোগ দিয়ে ১১ তারিখ তিনি জয়পুর হয়ে আজমের যেতে পারেন বলে জানা গেছে। আজমের শরিফের দরগায় যাওয়ার কথা তার। ১২ তারিখ জয়পুর থেকেই দেশে ফিরে যেতে পারেন হাসিনা। তবে সফরসূচি চূড়ান্ত নয়। যে কোনো সময় এই সূচির বদল হতে পারে বলে জানা গেছে।
দিল্লিতে জি-২০-র বৈঠকে এসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতে পারে শেখ হাসিনার। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে এখনো কোনো দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সূচি জানানো হয়নি। তবে কূটনৈতিক মহলের বক্তব্য, দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। বস্তুত, নরেন্দ্র মোদী এবং শেখ হাসিনা দুইজনই এখন দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেখানে ব্রিকসের বৈঠকে যোগ দিয়েছেন তারা। ব্রিকসের বৈঠকেও বাংলাদেশ আমন্ত্রিত অতিথি। ব্রিকসে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে ভারত সওয়াল করতে পারে বলে কূটনৈতিক মহলের ধারণা। বস্তুত, জোহেনেসবার্গেও মোদী-হাসিনা দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এএনআই)