জার্মানউইংস: পাইলটের ইচ্ছায় যেদিন প্রাণ গিয়েছিল দেড়শ মানুষের
মআর তাতে প্রাণ হারান দেড়শ যাত্রী ও ক্রু৷ সেই ঘটনার দশ বছর পূর্ণ হলো৷
ঘটনাস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ
জার্মানউইংসের বিমানটি ২০১৫ সালে যেখানে বিধ্বস্ত হয়েছিল, সেখানে সোমবার পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন ফরাসি, জার্মান এবং স্পেনীয় কর্মকর্তারা৷ সেদিন জার্মান পাইলট পুরো বিমান নিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন৷ ফলে দেড়শ যাত্রী এবং ক্রুর মৃত্যু হয়৷
এক মিনিট নিরবতা
ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুবান্ধবরা সোমবার সকাল ১০ টা ৪১ মিনিটে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন৷ ঠিক দশ বছর আগে এই দিন এবং এই সময়ে জার্মানউইংসের ফোরইউ উড়ানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল৷ স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করা বিমানটিকে নিচের দিকে নামিয়ে ফরাসি আল্পসের সঙ্গে বিধ্বস্ত করেন সেটির পাইলট৷
প্রাণ গিয়েছিল বিশ দেশের নাগরিকের
সেই ঘটনায় নিহতদের মধ্যে বিশটি দেশের নাগরিকরা ছিলেন৷ তবে বেশিরভাগই ছিলেন জার্মানি (৭২) ও স্পেনের (৫০) নাগরিক৷
লুফৎহানসার সাশ্রয়ী সহায়ক সংস্থা ছিল জার্মানউইংস
জার্মানউইংস ছিল জার্মান বিমানসংস্থা লুফৎহানসার সাশ্রয়ী সহায়ক সংস্থা৷ ফরাসি পাহাড়ি শহর ল্যুঁ ভেরনেটে সোমবার হাজির ছিলেন লুফৎহানসার সিইও কার্সটেন স্প্যোর৷ তিনি জানান যে দশ বছর আগের সেই বিয়োগান্তক ঘটনা এখনো তার প্রতিষ্ঠানকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে৷
কেন বিমানটি বিধ্বস্ত করেছিলেন পাইলট?
তদন্তকারীরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে বিষন্নতায় আক্রান্ত কোপাইলট ইচ্ছাকৃতভাবে আল্পসে বিমানটি বিধ্বস্ত করেন৷ সেসময় মূল পাইলট ককপিটে ছিলেন না৷ টয়লেটে গিয়েছিলেন৷ কিন্তু টয়লেট থেকে বেরিয়ে আবিস্কার করেন যে ককপিট লক করে ফেলেছেন কোপাইলট এবং এয়ারবাস এ৩২০ বিমানটিকে স্বয়ংক্রিয় অবতরণ মোডে নেয়া হয়েছে৷ তখন পাইলট ককপিটের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলেও সফল হননি৷
তথ্য সুরক্ষা নিয়ে বিতর্ক
বিমান বিধ্বস্তের সেই ঘটনার পর জার্মানউইংসের নাম বদলে ফেলা হয়েছে৷ আর বিষন্নতা এবং অন্যান্য রোগাক্রান্ত সেই পাইলট সম্পর্কে কেন বিমান সংস্থাকে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা জানাননি সেটা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক৷ কারণ তার চিকিৎসকরা বিষয়টি অবগত ছিলেন৷ কিন্তু রোগীর তথ্য সুরক্ষার নীতির কারণে তা শেয়ার করা হয়নি৷ সেই নীতি এখনো বদলায়নি৷