জলবায়ু সম্মেলনে জলবায়ু-ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দাবি
জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক সর্বোচ্চ সম্মেলন ‘কপ’-এর ২৭তম আসর ৬ নভেম্বর মিশরের শারম আল শাইখে শুরু হয়েছে৷ সেখানে ক্লাইমেট অ্যাক্টিভিস্টরা বিশ্বকে বাঁচাতে জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব রোধে ন্যায়বিচারের দাবি তুলেছেন৷ দেখুন ছবিঘরে..
ক্লাইমেট জাস্টিস'
শারম আল শাইখের আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন অ্যাক্টিভিস্টরা। 'ক্লাইমেট জাস্টিস' লেখা পোস্টারও চোখে পড়েছে তাদের হাতে। কার্যকরী নীতি প্রণয়ণ করে বিশ্বনেতৃত্ব বুঝিয়ে দিক, ক্ষমতা কিংবা বাজারের তুলনায় আমাদের এই পৃথিবী ও তার পরিবেশ কতটা গুরুত্বপূর্ণ, এমনটাই আশা তাদের৷
ভেগান অ্যাক্টিভিস্টরাও ছিলেন
'ডোন্ট ইট মি', অর্থাৎ আমাদের খেয়ে ফেলো না- এমনই একটি পোস্টার নিয়ে মাংস খাওয়ার বিরুদ্ধে প্রচার চালাতে দেখা গেছে এক ভেগান অ্যাক্টিভিস্টকে। সেই পোস্টারে ছিল গরু, শূকর, ছাগলসহ নানা প্রাণীর ছবি। মিট ইন্ডাস্ট্রি পরিবেশের চরম ক্ষতি করছে, এই বক্তব্যকে সামনে রেখে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।
বিটিএস আর্মিদের প্রতিবাদ
দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২১ মিলিয়ন কপি অ্যালবাম বিক্রি করা দলের নাম বিটিএস। দেশের অর্থনীতিতে তারা জোয়ার এনেছেন। তাদের বিপুল সংখ্যক ফ্যানবেস, অর্থাৎ বিটিএস আর্মির সদস্যরাও জলবায়ু ইস্যুতে সরব হন। এক প্রতিবাদীর হাতে লেখা ছিল, ‘‘জলবায়ুর বিচার চাই এখনই।’’
একজোট হয়ে
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ একাধিক দেশ মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ছে৷ একাধিক দেশের মানুষ, পরিবেশকর্মীরা দীর্ঘ সময় ধরে স্লোগান দিয়েছেন চত্বরের সামনে। অতীতের সম্মেলনগুলির প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা হোক, এই সুরেই প্রতিবাদ করেন তারা।
ছিল ডায়নোসরও!
ডায়নোসরটির নাম ফ্র্যাঙ্কি। ডায়নোসরের এই প্রতিলিপির মাধ্যমে পরিবেশ সম্মেলনে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। জলবায়ু নিয়ে সচেতনতা না বাড়লে ডায়নোসরের মতো মানুষও হয়ত বিলুপ্ত হয়ে যাবে, এমনই বার্তা দিতে চেয়েছে ফ্র্যাঙ্কি।
রাজনৈতিক বন্দিদের পাশে
সিভিক স্পেস কোয়ালিশনের সদস্যরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের সামনে রাজনৈতিক বন্দিদের প্রতি সংহতি প্রকাশের বার্তা দেন। প্রায় প্রত্যেকের পরনেই ছিল সাদা-কালো পোশাক। তারা জানান, জলবায়ু ইস্যুতে বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজের পাশে রয়েছেন সদস্যরা।
কিক বিগ পলিউটার্স
একাধিক সংস্থা রয়েছে, যারা সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী। সবথেকে বেশি দূষণের কারণও তারা। তাদের স্রেফ সরিয়ে দেয়া হোক। ‘কিক বিগ পলিউটার্স’ লেখা পোস্টারে এমনই বার্তা দেন প্রতিবাদীরা।
প্রতিবাদ রোখা যায় না
আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে জলবায়ুর জন্য ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানান জেলবন্দি এক অনশনকারীর বোন। "নো ক্লাইমেট জাস্টিস উইদাউট হিউম্যান রাইটস" লেখা মাস্ক পরে প্রতিবাদ তিনি।
আবেগঘন প্রতিবাদ
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কমিয়ে আনা আর ভুক্তভোগী দেশগুলোর জন্য জলবায়ু তহবিলের প্রতিশ্রুতি আদায় করার দাবিতে সরব প্রতিবাদীরাও। আবেগের মুহূর্তে পরস্পরকে আলিঙ্গন করতেও দেখা যায় দুই নারীকে।
দিনভর পোস্টারে, স্লোগানে সরগরম চত্বর
মাথায় পালকের তৈরি টুপি পরে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষের কথাই বোধহয় তুলে ধরতে চাইছেন এই নারী। প্রকৃতির উপর সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল মানুষগুলোর কথা ভেবেই তার এই সাজ। কারণ, পৃথিবীর ফুসফুস আমাজনের মতো অরণ্য বিপন্ন হলে সবথেকে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বেন বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষ।
আরকেসি/এসিবি (রয়টার্স)