ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সংগীতজ্ঞ সন্জীদা খাতুন আর নেই
২৫ মার্চ ২০২৫এক সপ্তাহ ধরে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন৷ দীর্ঘদিন ধরে তিনি ডায়াবেটিস, নিউমোনিয়া এবং কিডনির রোগে ভুগছিলেন বলে জানিয়েছে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার প্রথম আলো৷
ছায়ানট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রয়াত সন্জীদা খাতুনের প্রতি সর্বজনের শ্রদ্ধা নিবদেন আগামীকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে অনুষ্ঠিত হবে৷
কর্মময় বর্ণাঢ্য জীবন
সন্জীদা খাতুনের বিপুল কর্মময় বর্ণাঢ্য জীবন সামগ্রিকভাবে বাঙালির মানস ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে৷সন্জীদা খাতুনের জন্ম ১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল৷ তাঁর বাবা কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক, মা সাজেদা খাতুন গৃহিণী৷ সন্জীদা খাতুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৪ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক, ১৯৫৫ সালে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৭৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন৷ শিক্ষকতা দিয়েই তাঁর কর্মজীবন শুরু৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে দীর্ঘকাল অধ্যাপনা করেছেন তিনি৷
কলেজে পড়ার সময় থেকেই পড়াশোনা, আবৃত্তি ও অভিনয়ের পাশাপাশি গানের চর্চা করেছেন সনজীদা খাতুন৷ পাশাপাশি কিছু সাংগঠনিক কাজেও যুক্ত হয়েছেন৷
শিল্পী কামরুল হাসানের নেতৃত্বে সন্জীদা খাতুন ব্রতচারী আন্দোলনে যোগ দেন৷ তাঁর প্রথম গানের গুরু ছিলেন সোহরাব হোসেন৷ তাঁর কাছে তিনি শিখেছিলেন নজরুলসংগীতি, আধুনিক বাংলা গান ও পল্লিগীতি৷ পরে রবীন্দ্রসংগীত শিখেছেন হুসনে বানু খানমের কাছে৷ পরে যাঁদের কাছে শিখেছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম শৈলজারঞ্জন মজুমদার, আবদুল আহাদ, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেন৷
এপিবি/এসিবি (দৈনিক প্রথম আলো)