চীনের তিব্বতী নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার বুদ্ধীজীবীরা
৫ ডিসেম্বর ২০০৮ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ভবনটি সাজানো হয়েছিল তিব্বতের পতাকা দিয়ে৷ বহু পার্লামেন্ট সদস্য গলায় ঝুঁলিয়েছিলেন তিব্বতী শাল এবং অনেক সদস্য তিব্বতের সাথে সংহতি প্রকাশের জন্য চব্বিশ ঘন্টার উপবাস পালন করেন৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের অতিথি ছিলেন দালইলামা এবং তিনি সেখানে ভাষণ দেন৷ তাঁর ভাষণের মধ্য দিয়েই শেষ হয় আন্ত-সংলাপ বিষয়ক ধর্মীয় নেতাদের বক্তৃতামালা৷
দালাইলামাকে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে স্বাগত জানান পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট হান্স-গ্যার্ট প্যোটেরিং৷ দালাইলামাকে চীন সরকার গণ্য করে তিব্বতের বিভক্তকারী হিসেবে,বিপজ্জ্বনক বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে৷ এ ধরনের অনুষ্ঠানে দালাইলামা যাতে অংশ গ্রহণ করতে না পারেন সেজন্য বেইজিং সবসময় চেষ্টা করে৷ এরই অংশ হিসেবে চীন সরকার গত পয়লা ডিসেম্বর ফ্রান্সের লিও শহরে ইইউ-চীন শীর্ষ-বৈঠক হতে দেয় নি৷ কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফরাসী রাষ্ট্রপ্রধান নিকোলা সার্কোজি আগামী ৬ই ডিসেম্বর পোলান্ডের ডানজিগ শহরে দ মিলিত হবেন দালাইলামার সঙ্গে৷ চীন এই পদক্ষেপ গ্রহণ করলো এমন সময়ে যখন গোটা বিশ্বে চলছে অর্থনৈতিক সংকট৷ আর এ সময়েই বেশি প্রয়োজন দুই অর্থনৈতিক শক্তির মধ্যে সংলাপ৷ দালাইলামা ব্রাসেলসে এ ধরেনর সংলাপের কথাই উল্লেখ করেন৷
এদিকে, চীনের তিব্বতী নীতির বিরুদ্ধে সেদেশের বুদ্ধীজীবীরা সোচ্চার হয়েছেন৷ তাঁরা খোলা চিঠিতে চীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তার তিব্বত নীতি সম্পর্কে নতুন করে চিন্তাভাবনা করার৷ তাঁরা এ ব্যাপারে বারোটি বাস্তব প্রস্তাবও দেন বেইজিং সরকারকে৷ এটা ছিল মার্চের শেষে তিব্বতে গোলযোগের পরের ঘটনা৷
আগামী বছর চীনের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী৷ এর আগে তাই আশা করা যায় চীন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সংলাপে বসবে৷ আর এই সংলাপ প্রয়োজন সকলের স্বার্থেই৷