চন্দ্রযান পাঁচ-এ সম্মতি মন্ত্রিসভার, চাঁদে বিশাল রোভার পাঠাবে ভারত
২০২৩-এ বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে ভারতের চন্দ্রযান তিন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে। এবার চন্দ্রযান পাঁচ অনুমোদন পেলো।
চন্দ্রযান পাঁচ মিশন
ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে চন্দ্রযান পাঁচ মিশন অনুমোদন পেয়েছে। জাপানের সহযোগিতায় এবার চাঁদে ২৫০ কেজি-র রোভার পাঠানো হবে।
প্রজ্ঞানের থেকে দশগুণ বড়
চন্দ্রযান তিন-এ রোভার প্রজ্ঞান চাঁদের মাটিতে নেমে প্রচুর তথ্য পাঠিয়েছিল। রোভার প্রজ্ঞান ছিল মাত্র ২৫ কেজির। সেই তুলনায় চন্দ্রযান পাঁচের রোভার হবে দশগুণ বড়। প্রজ্ঞানের তুলনায় অনেক শক্তিশালী এবং তাতে অনেকগুলি নতুন বিষয় যোগ করা হবে।
২০২৭ সালে চন্দ্রযান চার
আর দুই বছর পরেই চন্দ্রযান চার-এর উৎক্ষেপণ হবে। চন্দ্রযান চার চাঁদ থেকে মাটির নমুনা সংগ্রহ করে আবার ফিরে আসবে। তারপর তা পরীক্ষা করে দেখবেন বিজ্ঞানীরা।
চন্দ্রযান পাঁচ কী করবে?
ইসরোর চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন বলেছেন, নতুন অত্যাধুনিক ও শক্তিশালী রোভার চন্দ্রপৃষ্ঠ সম্পর্কে প্রচুর তথ্য দেবে. তার গঠনের বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
এরপর কী?
চন্দ্রযান পাঁচের পর আগামী দশকে চন্দ্রযান ছয় পাঠাবার পরিকল্পনাও করেছে ইসরো। তাছাড়া ২০২৮ সালে তারা শুক্রগ্রহে শুক্রযান পাঠাবে। মহাকাশে ভারত নিজের উদ্যোগে প্রথম মহাকাশচারী পাঠাবার সিদ্ধান্তও নিয়েছে।
মহাকাশকেন্দ্র হবে
২০৩৫ সালে মহাকাশকেন্দ্র গঠনের পরিকল্পনাও করেছে ভারত। ২০৪৫ সালে ভারত চাঁদে প্রথম ভারতীয়কে পাঠাবে বলে ঠিক আছে।