ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত চেন্নাই
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম অন্ধ্রের উপকূলে আঘাত করার আগেই তার প্রভাবে ভয়ংকর বৃষ্টিতে ডুবে গেল চেন্নাই। শহর বিপর্যস্ত, মৃত আট।
চেন্নাই ভেসে গেছে
ঘূর্ণঝড়ের প্রভাবে চেন্নাইতে এত বৃষ্টি হয়েছে, পুরো শহর ভেসে গেছে। চেন্নাই পুরসভা জানিয়েছে, সোমবার ভোররাত থেকে দুপুর পর্যন্ত ৩৪০ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে শহরের নিচু এলাকা প্রথমে ভেসেছে। তারপর ক্রমশ জলমগ্ন হয়েছে শহরের অন্য এলাকা।
হাসপাতালের ভিতরে জল
চেন্নাই শহরের একটি সরকারি হাসপাতালের ছবি। হাসপাতালের ভিতরে জল ঢুকে গেছে। তারমধ্যেই রোগীদের চিকিৎসার কাজ চলছে।
চারিদিকে শুধু জল আর জল
চেন্নাই শহরের চারিদিকে শুধু জল আর জল। যেসব জায়গায় জল একটু কম, সেখান দিয়ে যানবাহন চলছে। কিন্তু শহরের একটা বড় অংশে কোনো যানবাহন চলছে না।
বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর নৌকা
শহরের বিভিন্ন জায়গায় নৌকা নিয়ে নেমে পড়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। তারা নৌকা নিয়ে ঘুরে ঘুরে শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষকে সরিয়ে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে।
নিয়ে আসা হলো আরো নৌকা
শহরের অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রচুর নৌকা নিয়ে আসতে হচ্ছে। মানুষ এখন তাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এতটাই জল জমেছে যে, নৌকা ছাড়া নিচু এলাকা থেকে মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব নয়।
নিরাপদ আশ্রয়ে
চেন্নাইয়ে নিচু এলাকা থেকে মানুষকে উদ্ধার করা হচ্ছে। প্রায় গোটা শহর জলের তলায়। সোমবার বিমানবন্দরে জলে ভেসে গেছিল বলে বিমান চলাচল বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার বৃষ্টির দাপট একটু কমায় বিমানবন্দর আবার চালু হয়েছে।
বাড়ি থেকে কাজ
সব স্কুল, কলেজ, অফিস ছুটি দিয়ে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বাড়ি থেকে কাজ করতে হবে। সরকার জানিয়েছে, একমাত্র জরুরি পরিষেবার সঙ্গে জড়িতরা ছাড়া আর কেউ যেন বাড়ির বাইরে বের না হন।
আবহাওয়া অফিস যা বলেছে
আবহাওয়া অফিস বলেছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত চেন্নাইতে বৃষ্টি হবে। তবে মাঝারি ও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। সোমবারের মতো আবার বৃষ্টি হলে চেন্নাইয়ের অবস্থা খুবই খারাপ হবে।
আটজনের মৃত্যু
বৃষ্টির কারণে চেন্নাইতে মোট আটজন মারা গেছেন। এর মধ্যে দেওয়াল ধসে দুইজন মারা গেছেন।