গাজায় ত্রাণ দিতে গিয়ে ইসরায়েলের আক্রমণে দু'মাসে ৪০০ জন নিহত
২৫ জুন ২০২৫ইসরায়েলের সেনাপ্রধান ইয়াল জামির মঙ্গলবার জানিয়েছেন, হামাসকে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করা এবং গাজা থেকে বাকি ইজরায়েলি বন্দিদের মুক্ত করাই এখন তাদের প্রধান লক্ষ্য। এদিকে জাতিসংঘের মানবতাবাদী সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, গাজার বিভিন্ন শিবিরে ত্রাণ সরবরাহ করতে গিয়ে গত মে মাস থেকে অন্তত ৪০০ সমাজকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ইসরায়েলের সেনার গুলিতে অথবা স্প্লিন্টারের আঘাতে তারা নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। ত্রাণ কর্মীদের অভিযোগ, তারা এখনো সব জায়গায় ত্রাণ পৌঁছে দিতে পারছেন না।
জাতিসংঘের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত তিন মাস ধরে গাজায় খাবার ঢুকতে দেয়নি ইসরায়েল। পরে তারা জানায়, জাতিসংঘকে তারা সেখানে কাজ করতে দেবে না। অ্যামেরিকার তত্ত্বাবধানে ত্রাণ দিতে হবে। কিন্তু তারপরেও ত্রাণ বন্টনের শিবিরগুলিতে মারণ হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। জাতিসংঘের অভিযোগ, খাবারের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় ত্রাণকেও ইসরায়েল যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী একে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
জাতিসংঘের মানবতাবাদী সংস্থার মুখপাত্র থামিন আল-খিতান বলেছেন, ''গাজার মানুষের সামনে এখন দুটোই রাস্তা খোলা। এক, না খেতে পেয়ে মৃত্যু। দুই, খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রাণ বাজি রাখা। যে কোনো সময় ইসরায়েলের সেনার গুলি খেতে হতে পারে।''
ইসরায়েলের সেনাপ্রধানের বক্তব্য
ইসরায়েলের সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, ইরানের পরমাণু প্রকল্প বহু বছর পিছিয়ে গেছে। তাদের হামলার কারণেই একাজ সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ইরান অভিযানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় শেষ হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তবে একইসঙ্গে জানিয়েছেন, ইরান অভিযান পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়নি। তবে আপাতত ইরান থেকে ফোকাস আবার গাজার দিকে ঘোরানো হবে বলে জানিয়েছেন ইয়াল জামির। গাজা থেকে সমস্ত ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্ত করাই এখন তাদের প্রধান লক্ষ্য।
এদিন জামিরের বিবৃতির আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছিলেন, ইসরায়েল আপাতত ইরানে অভিযান স্থগিত রাখছে। এবিষয়ে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার কথা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন নেতানিয়াহু। ট্রাম্প আগেই জানিয়েছিলেন, ইরান এবং ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)