গাজা শহরে আক্রমণ ইসরায়েলের সেনার
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসের সামনে তারা দু'টি শর্ত দিয়েছে। এক, হামাসের সমস্ত সদস্যকে আত্মসমর্পণ করতে হবে এবং দুই, হামাসের হাতে আটক সমস্ত বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। এই দু'ই শর্ত মানলে তবেই তারা হামলা বন্ধ করবে। বস্তুত, রোববার ইসরায়েল সেনার তরফে ফিলিস্তিনে বলা হয়েছে, সকলকে শহর ছেড়ে দক্ষিণে চলে যেতে হবে। আপাতত তারা গাজা শহরে আক্রমণ চালাবে। হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলসহ বেশ কিছু দেশ।
ইসরায়েলের এই আচরণের তীব্র নিন্দা করেছে বিশ্বের একাধিক মানবাধিকার সংগঠন। যেভাবে গাজা শহর দখল করার চেষ্টা করছে ইসরায়েল, তার প্রতিবাদ করা হয়েছে। তবে তারাও হামাসের কাছে সমস্ত বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
হামাসের বক্তব্য
হামাসের তরফ থেকেও ইসরায়েলের কাছে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছে, আপাতত যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে তারা ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। তাদের কাছে আলোচনার জন্য বেশ কিছু বিষয় আছে, যা যুদ্ধবিরতি ঘোষণায় কাজে লাগতে পারে।
হামাসের বক্তব্য, বহু ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের জেলে বন্দি। তাদের ছেড়ে দেওয়া হলে তারাও তাদের হাতে আটক বন্দিদের মুক্তি দেবে।
বস্তুত, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের এই সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। ইসরায়েলে একটি অনুষ্ঠানে আক্রমণ চালিয়েছিল হামাস। সেখানে এক হাজার ২০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বহু মানুষকে বন্দি করে নিয়ে গেছিল হামাস। যার মধ্যে শিশু এবং নারীও আছে। এরপরেই ইসরায়েল পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। যাতে এখনো পর্যন্ত ৬৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে বহু নারী ও শিশু আছে।
ট্রাম্পের হুমকি
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প হামাসকে কার্যত হুমকি দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের শর্ত মেনে নেওয়ার এটিই তাদের সামনে শেষ সুযোগ। ইসরায়েল এবং হামাসের যুদ্ধ বন্ধের জন্য ওয়াশিংটন একটি খসড়া চুক্তি তৈরি করেছে। ট্রাম্পের দাবি, হামাস ওই চুক্তি মেনে নিলেই এই লড়াই আপাতত বন্ধ হবে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, ''ইসরায়েল আমার শর্ত মেনে নিয়েছে।'' সমাজ মাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, ''হামাসকে শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এরপর আর তাদের কাছে কোনো অনুরোধ করা হবে না।''
উল্লেখ্য, এর আগেও হামাসকে একই কথা বলেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু শেষপর্যন্ত হামাস সব শর্ত মানতে রাজি হয়নি। হামাসের হাতে বন্দি ব্যক্তিদের পরিবার একটি সংগঠন তৈরি করেছে। ইসরায়েল সরকারের কাছে তারাও সমস্ত শর্ত মেনে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে।
ইসরায়েলের আক্রমণ
এদিকে গাজা শহরে লাগাতার আক্রমণ চালাচ্ছে ইসরায়েল। দুইটি বহুতলে হামলা চালিয়েছে তারা। হামাসের অভিযোগ, ওই বাড়ি দুইটিতে হামাসের সদস্যরা ছিল। কিন্তু স্থানীয় মানুষের দাবি, সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন বেসামরিক মানুষ। স্থানীয় সাংবাদিকেরাও একই দাবি করেছেন।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)