গজল শিল্পী পঙ্কজ উধাস আর নেই
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে সকাল ১১ টায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন পঙ্কজ উধাস৷ এ খবর নিশ্চিত করেছেন শিল্পীর মেয়ে নায়াব উধাস৷ সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘গভীর শোকের সঙ্গে জানাচ্ছি, পদ্মশ্রী শিল্পী পঙ্কজ উধাস ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হয়েছেন৷''
আশির দশকে গজলের অনুষ্ঠান, অ্যালবাম এবং ছবির গানে শ্রোতা, দর্শকদের মুগ্ধ করে রেখেছিলেন পঙ্কজ৷ ‘চান্দি জ্যায়সা রঙ হ্যায় তেরা', ‘দিওয়ারোঁ সে মিল কর রো না', ‘আহিস্তা, আহিস্তা', ‘থোড়ি থোড়ি পিয়া করো', ‘নিকলো না বেনকাব, জামানা খারাব হ্যায়,' ‘চিঠঠি আয়ি হ্যায়'সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের শিল্পীর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি অ্যালবামের নাম ‘নাশা', ‘পয়মানা', ‘হসরত', ‘হামসফর'৷
১৯৫১ সালের ১৭ মে গুজরাটের জেটপুরে জন্মগ্রহণ করেন কেশুভাই উধাস ও জিতুবেন উধাসের তিন সন্তানের সবচেয়ে ছোট সন্তান পঙ্কজ৷ সংগীতে আগ্রহ দেখে তাকে রাজকোটের সংগীত অ্যাকাডেমিতে ভর্তি করে দিয়েছিলেন বাবা কেশুভাই উধাস৷ শুরুতে তবলার প্রশিক্ষণ নেন গজলের জনপ্রিয় শিল্পী পঙ্কজ৷ তবে পরে গুলাম কাদির খানের কাছে শাস্ত্রীয় সংগীতের তালিম নিতে শুরু করেন৷ পরবর্তী সময়ে গোয়ালিয়র ঘরানার জনপ্রিয় শিল্পী নবরং নাগপুরকরের কাছে তালিম নিতে মুম্বাই চলে যান৷
পঙ্কজ উধাস প্রথম প্লেব্যাক করেন ‘হাম তুম অওর উয়োহ' ছবির মাধ্যমে৷ তবে ১৯৮৬ সালে ‘নাম' ছবিতে গাওয়া ‘চিঠঠি আয়ি হ্যয়' তাকে জনপ্রিয়তা শিখরে পৌঁছে দেয়৷ তারপর ১৯৯১ সালে ‘সাজন' ছবির ‘জিয়ে তো জিয়ে' গানটিও খুব শ্রোতাপ্রিয় হয়েছিল৷
জীবনে দেশ-বিদেশে অনেক সম্মানে ভূষিত পঙ্কজ উধাসকে ২০০৬ সালে ভারত সরকার পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে৷ তার চিরবিদায়ে সংগীত ভূবনে নেমেছে শোকের ছায়া৷ শোকার্ত সোনু নিগম লিখেছেন, ‘‘আমার শৈশবের গুরুত্বপূর্ণ একটা অধ্যায় পঙ্কজ উধাস, তাঁকে হারিয়ে ফেললাম৷ আপনাকে আজীবন মিস করবো৷ আপনার মৃত্যুর খবরে শোকাহত৷ আমাদের জীবনে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ৷''
এসিবি/জেডএইচ (আনন্দবাজার পত্রিকা)