ক্রিকেটে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের জয়
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২তিনটি ম্যাচের মধ্যে আরো মিল রয়েছে। তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ফয়সালা হয়েছে একেবারে শেষ ওভারে। তিন ম্যাচ ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছিল। তিনটি ম্যাচের ফলাফল বুঝিয়ে দিচ্ছে, ক্রিকেটে এই উপমহাদেশের দলগুলি এখনো বড় শক্তি।
এর মধ্যে বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে দুর্বল প্রতিদ্বন্দ্বী আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে খেলেছে। তাদের জয় ছিল খুবই কষ্টার্জিত। সাকিবহীন বাংলাদেশ প্রায় হারতে হারতে জিতেছে।
তুলনায় ভারত ও পাকিস্তানের প্রতিদ্বন্দ্বীরা ছিল খুবই শক্তিশালী। অস্ট্রেলিয়া তো প্রথম ম্যাচে জিতেছিল। তবে ঘরের মাঠে পরের দুইটি ম্যাচই রোহিত শর্মার দল জিতল।
পাকিস্তানও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিতে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে। অন্তত ঘরের মাঠে ভারত ও পাকিস্তান ভালো খেলেছে। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে অস্ট্রেলিয়ার পেসার-সহায়ক উইকেটে তারা কীরকম খেলেন সেটাই দেখার।
রোমাঞ্চকর ম্যাচ
হায়দরাবাদে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ ছিল রোমাঞ্চকর। একবল বাকি থাকতে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৮৮ রান করে ভারত। সেটাও সম্ভব হয় মূলত তিন ক্রিকেটারের জন্য। হার্দিক পান্ডিয়া ১৬ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন, সূর্ষকুমার যাদব করেছেন ৩৬ বলে ৬৯ রান এবং বিরাট কোহলি করেন ৪৮ বলে ৬৩ রান।
এর আগে অস্ট্রেলিয়া ২০ ওভারে ১৮৭ রান করেছিল। অক্ষর প্যাটেল তিনটি উইকেট নেন। বুমরা চার ওভারে ৫০ রান দিয়েছেন। কোনো উইকেট পাননি। চোট সারিয়ে খেলতে নেমেছিলেন বুমরা। তার ফর্ম নিয়ে চিন্তায় পড়তেই পারেন টিম ম্যানেজমেন্ট।
তিন রানে জয়
পাকিস্তান করাচিতে ইংল্যান্ডকে মাত্র তিন রানে হারিয়েছে। রিজওয়ানের ৮৮ রান তাদের এই জয় পেতে সাহায্য করেছে।
ইংল্যান্ড টসে জিতে প্রথমে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠায়। পাকিস্তান ১৬৭ রান তোলে। উপমহাদেশের পিচে খুব বড় রান নয়। কিন্তু পাকিস্তানের বোলাররা খুবই ভালো বল করেছেন। রউফ তিন উইকেট নেন ৩২ রান দিয়ে।
ম্যাচের শেষের দিকে ডসন একাই টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন ইংল্যান্ডকে। কিন্তু রউফ শেষ ওভারে তাকে আউট করেন। তিন বল বাকি থাকতে জিতে যায় পাকিস্তান।
দুবাইতে কষ্টার্জিত জয়
দুবাইতে সাত রানে জিতেছে বংলাদেশ। তবে প্রথম ব্যাট করে বাংলাদেশ ১১ এভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৭৭ রান তুলেছিল। তারপর আসিফ হোসেন এবং নুরুল হাসান সোহান হাল ধরেন। আসিফ ৭৭ রান করেন। সোহানের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটের জুটিতে ৮১ রান ওঠে, যা বাংলাদেশের রেকর্ড রান।
আমিরাতেরও শুরুটা ভালো হয়নি। ১০২ রানে তাদের সাত উইকেট পড়ে যায়। বাংলাদেশ দুইটি সহজ ক্যাচ ফেলে পরিস্থিতি জটিল করে দেয়। শেষ ওভারে দুই উইকেট নেন শরিফুল। ১৫১ রানে থেমে যায় আমিরাত।
জিএইচ/এসজি(এপি, পিটিআই, রয়টার্স, দ্য ডন)