ক্যানাডা সীমান্তের অবরোধ তুলল পুলিশ
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২করোনা লকডাউন, ভ্যাকসিন, কোভিড পাসপোর্টের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন ক্যানাডার নানা স্তরের মানুষ। বিক্ষোভকারীদের একটি বড় অংশ ট্রাক ড্রাইভার। ক্যানাডা-অ্যামেরিকা সীমান্তে যারা নিয়মিত যাতায়াত করেন। সীমান্ত পার করতে হলে টিকাকরণ বাধ্যতামূলক, ক্যানাডার এই ঘোষণার পর তারা ফ্রিডম কনভয়ের পরিকল্পনা করেন। গত এক সপ্তাহ ধরে ক্যানাডায় সেই আন্দোলনই চলছিল। রোববার সেই আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে তুলে দিয়েছে পুলিশ। কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ক্যানাডায় ৯০ শতাংশ মানুষের টিকাকরণ হয়ে গেছে। কিন্তু অল্পসংখ্যক মানুষ কোভিড টিকার বিরোধী। টিকা, কোভিড পাসপোর্ট, লকডাউন-- সবকিছু নিয়েই তাদের মধ্যে মতান্তর আছে। এই পরিস্থিতিতে তারা বড়সড় আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল। দেশের নানা প্রান্তে তারা ফ্রিডম কনভয় নিয়ে রাস্তা অবরোধ করেছিল। রাজধানীর পাশাপাশি সবচেয়ে বড় অবরোধ হয়েছিল উইন্ডসরের অ্যাম্বাসডর ব্রিজে। অ্যামেরিকা-ক্যানাডা সীমান্তের এই ব্রিজে প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়ে অবরোধ করেছিল আন্দোলনকারীরা। বড়বড় ট্রাক, পিক আপ ট্রাক, এমনকী, কুকুর নেওয়ার গাড়িও সামিল হয়েছিল বিক্ষোভে। ক্যানাডার পতাকা লাগিয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিল।
ব্রিজ অবরোধ হওয়ায় ক্ষতি হচ্ছিল অ্যামেরিকা-ক্যানাডা বাণিজ্যে। শুক্রবার থেকেই পুলিশ তাদের তোলার চেষ্টা করছিল। শনিবার আদালতের অর্ডারও নিয়ে যাওয়া হয় তাদের কাছে। আদালতের নির্দেশ দেখে বেশ কিছু অবরোধকারী শনিবারই এলাকা ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু কিছু বিক্ষোভকারী থেকে যায়। রোববার দীর্ঘ চেষ্টার পর পুলিশ তাদের তুলতে সক্ষম হয়। কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, বলপ্রয়োগ করে অনেক আগেই তারা বিক্ষোভকারীদের তুলে দিতে পারতো। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা ছোট ছোট শিশুদের সঙ্গে নিয়ে এসেছিল। বলপ্রয়োগ করলে বা কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়লে শিশুদের ক্ষতি হতে পারতো। সে জন্যই পুলিশ আলোচনার মাধ্যমে বিক্ষোভ তুলেছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা দাবি করেছেন।
ক্যানাডার অন্য প্রান্তের অবরোধগুলিও তোলার চেষ্টা হচ্ছে। সেখানেও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে রাজধানীর অবরোধ এখনো অব্যাহত।
এসজি/জিএইচ (এএফপি, এপি)