'কোকেন সেবন বাড়ছে', সতর্ক করলেন জার্মানির পুলিশ প্রধান
২৩ এপ্রিল ২০২৫দেশটির ফেডারেল ক্রিমিনাল পুলিশ দপ্তর- বিকেএ এর প্রধান হোলগার ম্যুংখ সংবাদ মাধ্যম আরএনডিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, জার্মানিতে কোকেন ব্যবহারের পরিমাণ বেড়েছে।
ম্যুংখ আরো জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক মাদক ব্যবসার কেন্দ্র উত্তর অ্যামেরিকা থেকে ইউরোপে স্থানান্তরিত হচ্ছে। এর কারণ হিসাবে তিনি উল্লেখ করেছেন, "উত্তর অ্যামেরিকার বাজার (মাদকের) এরই মধ্যে পরিপূর্ণ।"
সংবাদ সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছেন, জার্মানির ২০২৪ সালের অপরাধ পরিসংখ্যান অনুসারে গত বছর দেশে কোকেন-সম্পর্কিত অপরাধের সংখ্যা প্রায় পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের আরোপ করা আফিম নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বব্যাপী হেরোইনের বাজারে পরিবর্তন বিষয়েও সতর্ক করেছেন ম্যুংখ।
তিনি বলেন, "এটি (কোকেনের) ঘাটতি তৈরি করেছে এবং এর ফলে (হেরোইনের সঙ্গে) সিন্থেটিক ওপিওয়েডের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ভোক্তাদের জন্য আরও ঝুঁকিপূর্ণ।" এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানাইল সংক্রান্ত সংকটের কথা তুলে ধরেন তিনি। জার্মানিতে অবশ্য হেরোইন-সংশ্লিষ্ট অপরাধ গত বছর কমেছিল।
গাঁজা বৈধ হওয়ায় পুলিশের কাজ কী আরও কঠিন হয়েছে?
জার্মানির বিদায়ী জোট সরকারের গাঁজার আংশিক বৈধতা দেয়ার সিদ্ধান্তেও আশ্বস্ত নন ম্যুংখ। এপ্রিল থেকে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে অনুমোদিত ক্লাবগুলোতে অল্প পরিমাণে গাঁজা চাষের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্কদের জনসমক্ষে ২৫ গ্রাম পর্যন্ত গাঁজা বহন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তবে ম্যুংখ বলেছেন, "গাঁজা বৈধকরণ কালোবাজারের উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না; এই তথাকথিত গাঁজা ক্লাবগুলোও চাহিদা পূরণের ধারেকাছে যেতে পারবে না।" ম্যুংখ অভিযোগ করেছেন নতুন আইনটি বরং পুলিশের কাজকে আরও কঠিন করে তুলেছে।
"মানুষ যখন আইনত তাদের পকেটে ২৫ গ্রাম বহন করতে পারে, তখন তারা যে ব্যবসা করছে তা প্রমাণ করা আরও কঠিন," তিনি বলেন।
জোট সরকার গঠনের আলোচনায় খ্রিস্টীয় গণতন্ত্রী দল- সিডিইউ এবং সামাজিক গণতন্ত্রী দল- এসপিডি ২০২৫ সালের শরৎকালে গাঁজা বৈধতা দেয়ার ইস্যুটি পুনর্মূল্যায়ন করতে সম্মত হয়েছে। রক্ষণশীল সিডিইউ অবশ্য এই বৈধতা সম্পূর্ণরূপে বাতিল করার পক্ষে।
ম্যুংখ বলেন, "অবৈধ মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে লড়াই পুলিশ এবং বিচার ব্যবস্থার এজেন্ডার শীর্ষে থাকা উচিত।"
ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়া জার্মান ফেডারেল নির্বাচনে সিডিইউ সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে। নতুন দ্বিদলীয় জোট সরকারের বড় অংশীদার হতে চলেছে সিডিইউ। দলটির নেতা ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস মে মাসে চ্যান্সেলর নির্বাচিত হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন।
ম্যাট ফোর্ড/এডিকে/এসিবি