গির্জায় গ্রেনেড হামলা
১ জুলাই ২০১২বার্তা সংস্থাগুলোর খবরে জানা গেছে, রোববার স্থানীয় সময় সকাল সোয়া দশটার সময় গির্জা দুটিতে হামলা চালানো হয়৷ সেদেশের উত্তরাঞ্চলের গারিসা শহরের আফ্রিকান ইনল্যান্ড চার্চ এবং আরেকটি ক্যাথিলিক চার্চে হামলা চালানো হয়৷ সেখানকার পুলিশ কর্মকর্তা ফিলিপ এনদোলো জানান, মোট সাতজন সন্ত্রাসী এই হামলা চালায়৷ এর মধ্যে পাঁচজন হামলা চালায় আফ্রিকান ইনল্যান্ড চার্চে বাকি দুজন হামলা চালায় ক্যাথলিক চার্চে৷ এই সময় তারা মুখোশ পরে ছিলো৷
গির্জাগুলোতে যখন মানুষজন প্রার্থনা করছিলো তখন তাদের লক্ষ্য করে প্রথমে গ্রেনেড ছুড়ে মারে হামলাকারীরা৷ এরপর ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে৷ হামলায় মোট ১৭ জন প্রাণ হারিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন স্থানীয় মেডিকেল কর্মকর্তা আবদিকাদির শেইখ৷ তবে বার্তা সংস্থা এএফপি ও ডিপিএ নিহতের সংখ্যা ১৬ বলে জানিয়েছে৷ আহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৪০ জন বলে জানা গেছে৷ এছাড়া নিহতদের মধ্যে দুইজন পুলিশ সদস্যও রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷ এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে সুপ্রিম কাউন্সিল অব কেনিয়া মুসলিম৷ এখনও কাউকে গ্রেফতার না করারও নিন্দা জানিয়েছেন সংগঠনের চেয়ারম্যান আবদুল গাফুর এল বুসাইদি৷
এদিকে এই হামলার পেছনে এখনও কেউ দায়িত্ব স্বীকার করেনি৷ তবে নাইরোবি এই ধরণের ঘটনার জন্য সোমালিয়ার আল শাবাব গোষ্ঠীকে দায়ী করে আসছে৷ গত অক্টোবর মাসে সোমালিয়ার উগ্রপন্থী আল শাবাব গোষ্ঠীকে দমনের জন্য কেনিয়া সেনা পাঠানোর পর থেকেই দেশটিতে একের পর এক হামলা আর অপহরণের ঘটনা ঘটছে৷ তবে রোববারের ঘটনার ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে আল শাবাব গোষ্ঠী৷ উল্লেখ্য, ঘটনাস্থল গারিসা সোমালিয়ার সীমান্তের কাছেই অবস্থিত৷ রোববারের হামলার সঙ্গে নাইজেরিয়ার বোকো হারাম গোষ্ঠীর হামলার মিল রয়েছে৷ সেখানেও এইভাবে একের পর এক গির্জায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বোকো হারাম গোষ্ঠী৷
এদিকে কেনিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমেই নাজুক হয়ে পড়েছে৷ গত শুক্রবার গারিসা থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরের দাদাব শরণার্তী শিবিরে বন্দুকধারীরা চার জন বিদেশী সহায়তা কর্মীকে অপহরণ করে৷ এই সময় গুলিতে এক গাড়ি চালক নিহত হয়৷
আরআই/এআই (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)